জানা যায়, আলেক্সান্ডার অস্কার হোলভারসন নামের একজন প্রথম শ্রেণীর যাত্রী তার মায়ের কাছে চিঠিটি লিখেছিলেন। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধার করা জিনিসগুলোর মধ্যে এ চিঠিটা অন্যতম।
চিঠিটি লেখা হয়েছিল ১৩ এপ্রিল, অর্থাৎ টাইটানিক ডুবির মাত্র একদিন আগে। তিনি লিখেছিলেন, যদি কোন ঝামেলা না হয়, আমরা বুধবার সকালেই নিউইয়র্কে পৌঁছে যাব। কিন্তু কারও জানা ছিল না এর ঠিক পরদিনই নির্মম পরিণতি ঘটতে চলেছে জাহাজটির ভাগ্যে। হোলভারসনের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের মিনাসোটায়। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী। স্ত্রী ম্যারি এলিসের সঙ্গে টাইটানিকে ভ্রমণ করছিলেন তিনি। হোলভারসন জাহাজ ডুবিতে মারা গেলেও এলিস বেঁচে ফিরতে পেরেছিলেন।
ডুবে যাওয়া টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ থেকে হোলভারসনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পকেটে পাওয়া যায় চিঠিটি। পরে চিঠিটি তার পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিলো।
হোলভারসনের পরিবারের পক্ষ থেকে চিঠিটা বিক্রির জন্য নিলামে তোলা হয়। নিলামে টেলিফোনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে একজন সংগ্রাহক তা কিনে নেন। তবে ক্রেতার নাম গোপন রেখেছে নিলাম কর্তৃপক্ষ। নিলামের আয়োজক এন্ড্রু আলড্রিজ বলেন, চিঠির দামই বলে দিচ্ছে টাইটানিকের যাত্রী ও নাবিকদের ব্যাপারে সারা বিশ্বের মানুষ কতোটা আগ্রহী। সম্ভবত এটাই জাহাজের কোনো যাত্রীর লেখা একমাত্র চিঠি যেটা তার মৃত্যুর কারণে পোস্ট না করা হলেও প্রেরকের কাছে ঠিকই পৌঁছেছে।
১৯১২ সালে সাউথহাম্পটন থেকে যাত্রা করে ব্রিটিশ জাহাজ টাইটানিক। আটলান্টিক মহাসাগরের উপর দিয়ে নিউইয়র্ক পৌঁছানোর কথা ছিল এর। কিন্তু বরফখণ্ডের ধাক্কায় প্রায় পনেরশ যাত্রীসহ ডুবে যায় এককালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় নৌযানটি।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৮ ঘণ্টা, ২৩ অক্টোবর, ২০১৭
এনএইচটি/এএ