তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলা নিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’।
২৪ অক্টোবর, ২০১৭, সোমবার। ০৯ কার্তিক, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
১৭৯৫- পোল্যান্ড-লিথুনিয়ান কমনওয়েলথ অস্ট্রিয়া, প্রুশিয়া এবং রাশিয়া এই তিনটি ভাগে বিভক্ত হয়।
১৮৬১- বিশ্বের প্রথম অ্যাসোসিয়েশন ফুটবল স্টেডিয়াম গুডিসনপার্ক উন্মুক্ত করা হয়।
১৯০১- এ্যানি এডিসন টেইলর, একটি পিপার ভিতরে করে সর্বপ্রথম নায়াগ্রা জলপ্রপাত পার হন।
১৯১১- অরভিল রাইট তার আবিষ্কৃত উড়োজাহাজে করে নর্থ ক্যারলিনার আকাশে নয় মিনিট পঁয়তাল্লিশ সেকেন্ড ভেসে থাকেন।
১৯১২- প্রথম বল্কান যুদ্ধে সার্বিয়ানদের বিজয়ের মাধ্যমে কুমানোভের যুদ্ধের অবসান ঘটে।
১৯৪৫- ৫১টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে জাতিসংঘের যাত্রা শুরু।
১৯৬৪- যুক্তরাজ্য থেকে উত্তর রোডেশিয়া স্বাধীনতা অর্জন করে।
জন্ম
১৭৭৫- বাহাদুর শাহ জাফর, মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট।
১৮৫৪- জার্মান রসায়নবিদ হেন্ড্রিক উইলিয়াম।
১৮৯৯- ফেরহাত আব্বাস, আলজেরিয়ান রাজনৈতিক নেতা এবং প্রথম রাষ্ট্রপতি।
১৯০৬- রাশিয়ান গণিতবিদ আলেকজান্ডার জেলফন্ড।
১৯৩০- বাদশাহ সুলতান আহমাদ শাহ।
১৯৩২- নোবেল পদকপ্রাপ্ত কানাডিয়ান অর্থনীতিবিদ রবার্ট মান্ডেল।
১৯৮৫- ব্রিটিশ ফুটবল খেলোয়াড় ওয়েন রুনি।
১৯৮৬- ব্রিটিশ ফুটবল খেলোয়াড় জন রুডি।
১৯৩৯- রশীদ তালুকদার, বাংলাদেশি প্রখ্যাত আলোকচিত্রশিল্পী।
মৃত্যু
২০১৩- মান্না দে, উপমহাদেশের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী। তার আসল নাম প্রবোধ চন্দ্র দে। তিনি ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম সেরা সঙ্গীতশিল্পীদের একজন। হিন্দি, বাংলা, মারাঠি, গুজরাটিসহ অজস্র ভাষায় তিনি ষাট বছরেরও অধিক সময় সঙ্গীতচর্চা করেছিলেন। বৈচিত্র্যের বিচারে তাকেই হিন্দি গানের ভুবনে সবর্কালের সেরা গায়ক হিসেবে স্বীকার করে থাকেন অনেক বিশেষজ্ঞ সঙ্গীতবোদ্ধা। মান্না দে গায়ক হিসেবে ছিলেন আধুনিক বাংলা গানের জগতে সর্বস্তরের শ্রোতাদের কাছে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় ও সফল সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব। এছাড়াও, হিন্দি এবং বাংলা সিনেমায় গায়ক হিসেবে অশেষ সুনাম অর্জন করেছেন। ১৯৫০ থেকে ১৯৭০ এর দশক পর্যন্ত ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতেও তিনি সমান জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সঙ্গীত জীবনে তিনি সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি গান রেকর্ড করেন। সঙ্গীত ভুবনে তার এ অসামান্য অবদানের জন্য ভারত সরকার ১৯৭১ সালে পদ্মশ্রী, ২০০৫ সালে পদ্মবিভূষণ এবং ২০০৯ সালে দাদাসাহেব ফালকে সম্মাননায় অভিষিক্ত করে। ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাকে রাজ্যের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান বঙ্গবিভূষণ প্রদান করে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৭
এনএইচটি/এএ