মার্কিন বংশোদ্ভূত ফরাসি নাগরিক আর্থার ব্র্যান্টের সংগ্রহে থাকা ১২০টি পরাবাস্তববাদী চিত্রকর্ম শনিবার (২১ অক্টোবর) বিক্রির জন্য নিলামে তোলা হয়। সংকলনে ডুশাম্পের গোঁফওয়ালা মোনালিসাও স্থান পায়।
ফরাসি বংশোদ্ভূত চিত্রশিল্পী মার্সেল ডুশাম্পকে বলা হয় কন্সেপচুয়াল আর্টের জনক। তিনি ১৯১৯ সালে মোনালিসার একটি প্রতিলিপি তৈরি করে, এর নাকের নিচে পেনসিলে এঁকে দিয়েছিলেন একজোড়া সরু গোঁফ। এ পর্যন্ত গোঁফযুক্ত মোনালিসার মোট নয়টি প্রতিলিপি এঁকেছেন তিনি। শনিবার বিক্রি হওয়া ছবিটি আঁকা হয়েছিল ১৯৬৪ সালে। ডুশাম্পের মোনালিসার নাম দেওয়া হয়, ‘L.H.O.O.Q’ যা উচ্চারণের সময় একটি ফরাসি বাক্যের মতো শোনায়। ফরাসি বাক্যটির অর্থ, মেয়েটি উদ্দীপ্ত। মার্কিন ভাস্কর ও শিল্প পণ্ডিত রোনাল্ড শেরারের মতে, এই মোনালিসার চেহারায় স্বয়ং ডুশাম্পের মুখবৈশিষ্ট্যের কিছুটা ছাপ বিদ্যমান।
নিলামের আগে আয়োজকরা আশা করেছিলেন ছবিটি চার থেকে ছয় লাখ ইউরোতে বিক্রি হতে পারে। কাঙ্ক্ষিত দামের চেয়েও বেশিতে বিক্রি হওয়ায় সন্তুষ্ট নিলাম সংশ্লিষ্টরা। নিলামে বিক্রিত ডুশাম্পের দ্বিতীয় চিত্রকর্মটি হলো- বক্স ইন স্যুট। তিন লাখ ১৯ হাজার ইউরোতে বিক্রি হয়েছে এটি।
এদিকে ফ্রান্সিস পিকাবিয়ার ১৯১৫ সালের একটি চিত্রকর্ম থেকে বেশ ভালো দাম আশা করা হলেও তা বিক্রি হয়নি। সুইজারল্যান্ডের শিল্পী কার্ট সেলিগমানের একটি ছবি আট লাখ পাউন্ডে বিক্রির প্রত্যাশা থাকলেও তা বিক্রি হয়েছে এক লাখ ৮১ হাজার ২শ ৫ পাউন্ডে।
ইতিহাসের অন্যতম সেরা চিত্রকর লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির বিশ্ববিখ্যাত চিত্রকর্ম মোনালিসাকে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ছবি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। যুগে যুগে এর প্রতিলিপি তৈরি করেছেন অসংখ্য চিত্রশিল্পী। আর ছবিটির প্যারোডি বা হাস্য-রসাত্মক প্রতিলিপির সংখ্যাও কম নয়। সালভাদর দালির মতো বিখ্যাত শিল্পীরাও এর প্যারোডি তৈরি করেছেন। বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে এর প্যারোডি সংখ্যা গুনে শেষ করা যাবে না। বলা হয়, পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি প্যারোডি করা ছবি ভিঞ্চির এই মোনালিসা।
বাংলাদেশ সময়: ০২২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৭
এনএইচটি/এএ