এ উৎসবে জীবনী ও শক্তির উৎস হিসেবে বিবেচিত সূর্য দেবতার কাছে কল্যাণ, সমৃদ্ধি ও উন্নতির প্রার্থনা জানাবেন ভক্তরা। পুণ্যস্নান করবেন কোশী নদীতে।
স্নানের পর শুদ্ধ ঘিয়ে রান্না করবেন খিচুড়ি আর কুমড়ো। উৎসবের প্রথম দিনের খাবার এটাই। দ্বিতীয় দিন উপবাস রেখে রাতে খাবেন ক্ষীর আর চাপাটি।
তৃতীয় দিন ছট ব্রতীরা উপবাসে থেকে নদীতে দাঁড়িয়ে সূর্যদেবতার উদ্দেশে ফল এবং অন্যান্য অর্ঘ্য উৎসর্গ করবেন। প্রণাম করবেন উদয় আর অস্তগামী সূর্য এবং তাঁর স্ত্রী ঊষা আর প্রত্যুষাকে। চতুর্থ দিন একইভাবে অর্ঘ্য উৎসর্গ করার পরেই উপবাস ভাঙ্গবেন ব্রতীরা।
ছট শব্দটা প্রাকৃত। এসেছে সংস্কৃতের ষষ্ঠ শব্দ থেকে। চার দিন ব্যাপী এ পূজা হলেও সূর্যদেবের মূল পূজা হয় দীপাবলীর ঠিক ৬ দিন পরে কার্তিক মাসের শুক্লা ষষ্ঠীতে। তাই এর নাম ছট পূজা। নেপাল ছাড়াও ভারতের বিহার ও ঝাড়খণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হল ছট।
বলা হয়ে থাকে, বৈদিক যুগের আগে থেকেই ছট পূজার চল ছিল। মহাভারতের পঞ্চ পাণ্ডব ও দ্রৌপদী এ উৎসব পালন করতেন। রামায়ণেও রাম-সীতার ছট পূজার কথা উল্লেখ আছে।
ভক্তদের বিশ্বাস, ছটপূজায় সব মনোকামনা পূর্ণ করেন সূর্যদেব। সংসারের মঙ্গল কামনায় গৃহিণীরাই এই পূজা করে থাকেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৭
জেডএম/