একেক জাতি একেক রকমের নিয়ম-নীতি অনুসরণ করে থাকে এতে। আর কিছু কিছু জাতির বিবাহ নীতিতে এমন সব বৈচিত্র্যের দেখা মেলে, যা বিস্মিত করে অন্যদের।
কারও গায়ে থুথু ছিটানো খুবই আপত্তিকর। কিন্তু এ কাজটাই কেনিয়ার মাসাই জাতির বিয়ের অনুষ্ঠানের খুবই স্বাভাবিক একটি দৃশ্য। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে বিদায় নেওয়ার আগে কনের বাবা তার মেয়ের মাথায় ও বুকে থুথু ছিটিয়ে আশীর্বাদ করেন। বরের হাত ধরে চলে যাওয়ার সময় ভুলেও পিছনে ফিরে তাকানোর অনুমতি নেই কনের। মনে করা হয়, এ কাজ করলে কনে পাথরে পরিণত হবে।
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়ার দ্বীপ মারকুয়েসাসে মানুষকে পদদলিত করে বিয়ের আসর থেকে বিদায় নেয় বর-কনে। অনুষ্ঠান শেষে কনের নিকটাত্মীয় ও প্রতিবেশীদের মাটিতে সারিবদ্ধ হয়ে শুয়ে পড়তে হয়। এরপর তাদের মানব-কার্পেটের মতো ব্যবহার করে উপর দিয়ে হেঁটে যায় নবদম্পতি।
ভারতের আসামে বিয়ে করতে হলে বরকে শুধু শক্তিশালী হলেই চলে না, হতে হবে বুদ্ধিমানও। কনের কাছে পৌঁছানোর জন্য বরকে বিভিন্ন প্রকার ধাঁধাঁর সমাধান করতে হয়। ধাঁধাঁ সমাধানের পর কনের পরিবার ও বন্ধুদের তৈরি মানব দেয়াল শক্তির জোরে পার করতে হবে তাকে। বরের ভালোবাসার শক্তি পরীক্ষার জন্য এ প্রতীকী নিয়মটি প্রচলিত।
স্কটিশরা বিয়ের আগে এক নোংরা নিয়ম পালন করে। ব্যাপারটাকে নোংরা বলা হচ্ছে কারণ, বর ও কনেকে এদিন রাজ্যের যাবতীয় ময়লা, পচা ডিম, বাসি দুধ, গন্ধযুক্ত মাছ ইত্যাদি ছুড়ে দেওয়া হয়। বিশ্বাস করা হয় হবু দম্পতি যদি এই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে, তবে ভবিষ্যতের যেকোনো খারাপ পরিস্থিতি সামলানো তাদের জন্য সহজ হবে।
চীনের তুজিয়ান জাতির বিয়ের এক মাস আগে থেকে কনেকে নিয়ম করে কাঁদতে হয়। প্রতিদিন কমপক্ষে একঘণ্টা করে তা করতে হয় বিয়ের দিন পর্যন্ত। কনের পরিবারের অন্য সদস্যরাও এই কান্নায় যোগ দেয়। কনে কান্না শুরু করার দশ দিন পর কনের মা কান্নায় যোগ দেয়, বিশ দিন পর যোগ দেয় কনের নানি।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
এনএইচটি/এএ