তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলা নিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’।
২৭ অক্টোবর, ২০১৭, শুক্রবার। ১২ কার্তিক, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
১৫২৬ - মোগল সম্রাট বাবর দিল্লির সিংহাসনে আরোহণ করেন।
১৮০৬ - ফরাসিরা বার্লিন দখল করে।
১৯১৯ - ভারতবর্ষে প্রথম খিলাফত দিবস পালিত হয়।
১৯৭৯ - যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন দ্বীপপুঞ্জ।
১৯৯১ - বিপ্লবের পর পোল্যান্ডে প্রথম অবাধ সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
১৯৯১ - সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে তুর্কমেনিস্তান।
জন্ম
১৭২৮ - জেমস কুক, ব্রিটিশ অভিযাত্রী।
১৮১১ - আইজ্যাক সিঙ্গার, মার্কিন শিল্পপতি, সিঙ্গার করপোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা।
১৮৫৮ - থিওডোর রুজভেল্ট, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৬তম রাষ্ট্রপতি।
১৯০১ – আব্বাসউদ্দীন আহমদ, প্রখ্যাত বাংলা লোকসঙ্গীত গায়ক। আধুনিক গান, স্বদেশী গান, ইসলামী গান, লোকসঙ্গীত, উর্দুগান সবই তিনি গেয়েছেন। তবে লোকসঙ্গীতে তার মৌলিকতা ও সাফল্য সবচেয়ে বেশি। রংপুর ও কুচবিহার অঞ্চলের ভাওয়াইয়া, ক্ষীরোল চটকা গেয়ে আব্বাসউদ্দীন প্রথমে সুনাম অর্জন করেন। তারপর জারি, সারি, ভাটিয়ালি, মুর্শিদি, বিচ্ছেদি, দেহতত্ত্ব, মর্সিয়া, পালা গান গেয়ে জনপ্রিয় হন। ১৯৫৫ সালে ম্যানিলায় দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় সঙ্গীত সম্মেলন, ১৯৫৬ সালে জার্মানিতে আন্তর্জাতিক লোকসংগীত সম্মেলন এবং ১৯৫৭ সালে রেঙ্গুনে প্রবাসী বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনে তিনি যোগদান করেন। এছাড়াও আব্বাসউদ্দীন মোট ৪টি বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ‘আমার শিল্পীজীবনের কথা’ (১৯৬০) আব্বাসউদ্দীনের রচিত একমাত্র গ্রন্থ। সঙ্গীতে অবদানের জন্য তিনি মরণোত্তর প্রাইড অব পারফরমেন্স (১৯৬০), শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৭৯) এবং স্বাধীনতা দিবস পুরস্কারে (১৯৮১) ভূষিত হন।
১৯১৪ - ডিলান টমাস, ব্রিটিশ কবি।
১৯২০ - কে আর নারায়ানান, ভারতীয় রাজনীতিবিদ ও ভারতের ১০ম রাষ্ট্রপতি।
১৯৩২ - সিলভিয়া প্লাথ, মার্কিন কবি।
১৯৪৭ - কাদের সিদ্দিকী, বাংলাদেশের একজন রাজনৈতিক নেতা।
মৃত্যু
১৬০৫ - মোগল সম্রাট আকবর। তিনি মুঘল সাম্রাজ্যের তৃতীয় সম্রাট। পিতা সম্রাট হুমায়ুনের মৃত্যুর পর ১৫৫৬ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে আকবর ভারতের শাসনভার গ্রহণ করেন এবং বৈরাম খানের তত্ত্বাবধানে তিনি সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার সাম্রাজ্য বিস্তার করতে থাকেন। ১৫৬০ সালে বৈরাম খানকে সরিয়ে আকবর নিজে সব ক্ষমতা দখল করেন। ১৬০৫ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রায় সমস্ত উত্তর ভারত মুঘোল সাম্রাজ্যের অধীনে চলে আসে। তিনি জাবতি প্রথা নামে একটি রাজস্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলেন। পণ্ডিতদের মতে, আকবরই বাংলা সনের প্রবর্তক। আকবরের রাজত্বকালে শিল্প ও স্থাপত্যের বিশেষ অগ্রগতি হয়।
২০০৯ – ডেভিড শেফার্ড, ব্রিটিশ ক্রিকেট আম্পায়ার।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৭
এনএইচটি/এএ