যেহেতু খরা রোধের কোনো কার্যকরী উপায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, তাই পানি ঘাটতি মেটাতে গবেষকরা একটি বিকল্প পদ্ধতির পরামর্শ দিচ্ছেন। এ বিকল্পের নাম শীতল ছাদ।
কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, শীতল ছাদ ব্যবহারে শুধু বাড়ির তাপমাত্রা সহনীয় রাখতেই সাহায্য করে না, তা আশপাশের এলাকার তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। এতে মাথাপিছু ১৫ গ্যালন পর্যন্ত পানি ঘাটতি মেটানো সম্ভব।
ক্যালিফোর্নিয়ার ১৮টি অঞ্চলে শীতল ছাদ ব্যবহারের উপর গবেষণা চালানো হয়। সম্প্রতি এ অঞ্চলের চলমান খরা ও পানি ঘাটতি মোকাবেলায় শীতল ছাদ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ফলে খুব দ্রুত এ অঞ্চলের পানির চাহিদা ২৫ শতাংশ কমে যাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করেন গবেষকরা।
শীতল ছাদ কি?
রৌদ্রোজ্জ্বল উষ্ণ আবহাওয়ায় সাদা বা উজ্জ্বল রঙের কাপড় আমাদের দেহে স্বাচ্ছন্দ্য দেয়। শীতল ছাদের বিষয়টিও অনুরূপ। এক্ষেত্রে বাড়ির ছাদে উচ্চ প্রতিফলনশীল উপাদান ব্যবহার করা হয়। ফলে সাধারণ ছাদের তুলনায় তা অনেক কম তাপ শোষণ করে। শীতল ছাদ নির্মাণে সাধারণত উচ্চ প্রতিফলনশীল রঙের (যেমন- সাদা) টাইলস বা ছাঁচ ব্যবহার করা হয়। উষ্ণ আবহাওয়ায় সাধারণ ছাদের কারণে বাড়ির তাপমাত্রা ৬৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। একই পরিবেশে শীতল ছাদ ১০ ডিগ্রি কম তাপ উৎপাদন করে।
শীতল ছাদের উপকারিতা
১। বাড়ির অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা শীতল রাখে।
২। এয়ার কন্ডিশন ব্যবহারের দরকার পড়ে না, ফলে বিদ্যুৎ খরচ কমায়।
৩। কারখানা বা গ্যারেজে কাজ করার জন্য আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি করে।
৪। ছাদের রক্ষণাবেক্ষণ খরচ কমায়।
৫। আশপাশের এলাকার তাপমাত্রা কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
৬। পানি ঘাটতি পূরণ ও খরা মোকাবেলায় সহায়ক।
বাংলাদেশ সময়: ০১০০ ঘণ্টা, নভেম্বর০৪, ২০১৭
এনএইচটি/এএ