ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

৪৫০০ বছরের রহস্য উন্মোচনের পথে গিজার পিরামিড!

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০১৭
৪৫০০ বছরের রহস্য উন্মোচনের পথে গিজার পিরামিড! ৪৫০০ বছরের রহস্য উন্মোচনের পথে গিজার পিরামিড!

ঢাকা: সম্প্রতি ‘গ্রেট পিরামিড অব গিজা’র কেন্দ্রস্থলে একটি গোপন স্থানের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বলা হচ্ছে, এই সরু আকৃতির গোপন স্থানটিই উন্মোচন করবে এ পিরামিডের সাড়ে চার হাজার বছরের রহস্য। সন্ধান পাওয়া গোপন স্থানটি একটি সরু হলঘরের মতো। দৈর্ঘ্যে ৩০ ফুট। 

গিজার পিরামিডের তিনটি কামরা আকৃতিতে অনেক বড় ও বিশেষ বৈশিষ্ট্যধারী। এগুলোর মধ্যে নিচের দিকে রানিদের কক্ষ অবস্থিত।

একটু উপরে আড়াআড়িভাবে রয়েছে একটা হলঘর, যাকে বলা হয় প্রধান গ্যালারি। প্রধান গ্যালারির অপর প্রান্তে অবস্থিত ফেরাউন রাজাদের বিশেষ কক্ষ।
খুঁজে পাওয়া গোপন স্থানটির অবস্থান পিরামিডের প্রধান গ্যালারির ঠিক উপরের দিকে।  
গবেষকদের অভিজ্ঞতা বলে, এই গোপন স্থানটিতেই লুকিয়ে রয়েছে পিরামিডের বাকি সব রহস্য। এ স্থানে পাওয়া যাবে এমন সব তথ্য, যা বিজ্ঞানীদের অনেক প্রশ্নেরই উত্তর বহন করবে।

গ্রেট পিরামিড অব গিজা এবং এর অভ্যন্তরীণ কক্ষগুলোর অবস্থান।

প্রত্নতাত্ত্বিকদের এতো বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের পরেও যে স্থানটি নিজেকে সবার অন্তরালে রাখতে সক্ষম হয়েছিল, সে স্থানটি চিহ্নিত করতে বিজ্ঞানীরা ব্যবহার করেছেন অনেক উন্নত এক প্রযুক্তি।

এ কাজে পদার্থ বিজ্ঞানীদের সাহায্যের প্রয়োজন হয়েছে। তারা একটি বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে বাইরে থেকেই সম্পূর্ণ পিরামিডের অভ্যন্তরের ছবি তুলতে  সক্ষম হয়েছেন। এ প্রযুক্তিটাকে বলা হচ্ছে, মিওগ্রাফি। এটা এক ধরনের পার্টিকেল ব্যবহার করে যা এক্স-রে মতোই বাধা ভেদ করে চলাচল করতে পারে, তবে এক্স-রের চেয়ে তা অনেক বেশি কার্যকর।

পিরামিডের অভ্যন্তরের ছবি পেতে মহাকাশ থেকে পার্টিকেলগুলো পাঠিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। প্রত্নতত্ত্ববিদ ও পদার্থবিদদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রাচীন মিশরের সবচেয়ে বড় রহস্য উন্মোচনের দ্বারপ্রান্তে উপস্থিত মানবজাতি।  

মিওগ্রাফি থেকে পাওয়া তথ্য ও ছবি বিশ্লেষণ করছেন বিজ্ঞানীরা।

‘গ্রেট পিরামিড অব গিজা’ হচ্ছে মিশরের সবচেয়ে বড় ও উঁচু পিরামিড। এর আরেক নাম খুফুর পিরামিড। ফেরাউন রাজা খুফুর তত্ত্বাবধানে এ পিরামিড নির্মাণ করা হয়। খ্রিস্টপূর্ব ২৫৫০ সালে নির্মিত এই পিরামিড বিশ্বের সাত প্রাগৈতিহাসিক আশ্চর্যের একটি, যা এখনও পর্যন্ত বহাল তবিয়তে আছে।

কীভাবে এই পিরামিড নির্মাণ করা হয়েছে, তা নিয়ে অতীতে বহু গবেষণা চলেছে। ভিন্ন ভিন্ন গবেষণা ভিন্ন ভিন্ন সিদ্ধান্তের দিকে ইঙ্গিত করে। তবে কোনো সিদ্ধান্তই বিষয়বস্তুকে পুরোপুরি ব্যাখ্যা করতে পারেনি।  

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এবারের আবিষ্কারটি পিরামিড নির্মাণ সংক্রান্ত বহুকাঙ্ক্ষিত প্রশ্নটির জবাব শোনাবে। গিজার পিরামিড নিয়ে বিজ্ঞানীদের এ অনুসন্ধান বিষয়ক গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছে বিজ্ঞান সাময়িকী ‘ন্যাচার’।

পিরামিড স্ক্যান করে এর অভ্যন্তরের ছবি তোলার এ গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে মিশরের পুরাতত্ত্ব মন্ত্রণালয়, ইউনিভার্সিটি অব কায়রো এবং হেরিটেজ ইনোভেশন প্রিজারভেশন (এইচআইপি) নামের একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত প্রয়াসে।  

বাংলাদেশ সময়: ০০৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৭
এনএইচটি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।