ঘটনাটি আসামের গৌহাটিতে অবস্থিত আমচাং অভয়াশ্রমের। আসামের পুলিশ কমিশনার হিরেন নাথ বলেন, অবৈধ দখলদারর তাড়াতে প্রথমে আমরা টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করি।
হাতির সাহায্যে টিন ও বাঁশের তৈরি প্রায় এক হাজার কুঁড়েঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
রাজ্যের ফরেস্ট মিনিস্টার প্রমিলা ব্রহ্মা বলেন, আমচাংয়ের ওই অঞ্চলটি ছিল হাতিদের আবাস। সেখানে জনবসতি গড়ে ওঠায় হাতিরা খাবারের খোঁজে আশপাশের গ্রামাঞ্চলের দিকে যেতে শুরু করেছে। ফলে প্রায়ই বন্যহাতির আক্রমণে মানুষ মারা যাচ্ছে এবং কৃষিজমিতে বন্যহাতির আক্রমণ আগের চেয়ে বেড়েছে।
বনাঞ্চল থেকে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করতে আদালতের আদেশ এলে পুলিশ এ কাজে নেমে পড়ে। এতো দুর্গম অঞ্চলে বুলডোজার বা খননকারী যন্ত্রের তুলনায় হাতি অনেক কার্যকর। তাই হাতির পিঠে চড়ে পদদলিত করা হলো দখলদারদের ঘর-বাড়ি। উচ্ছেদ অভিযানের সময় বন বিভাগের কর্মীরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
২০১৪ সালে আসামের বনবিভাগের চালানো জরিপের তথ্যমতে, প্রায় ছয় হাজার মানুষ রাজ্যের ২৪টি অভয়াশ্রমের অভ্যন্তরে বসবাস করছে। ২০১৬ সালে চালানো এক উচ্ছেদ অভিযানে একজন ব্যক্তি নিহত এবং ১৫ জন পুলিশ সদস্য ছাড়াও ১৭ জন গ্রামবাসী আহত হন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৭
এনএইচটি/এএ