তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এই গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলা নিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’।
০১ ডিসেম্বর, ২০১৭, শুক্রবার। ১৭ অগ্রহায়ণ, ১৪২৪ বঙ্গাব্দ। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যু দিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।
ঘটনা
১৯২০ - পি. জে. হার্টগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য হিসেবে দ্বায়িত্ব নেন।
১৯৫৯ - অ্যান্টার্কটিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
জন্ম
১৭৬১ - ম্যারি তুসো, মাদাম তুসো জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা।
১৯০০ - মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা, একজন রসায়নবিদ, গ্রন্থকার ও শিক্ষাবিদ।
মৃত্যু
১১৩৫ - প্রথম হেনরি, ইংল্যান্ডের রাজা।
১২৪১ - ইসাবেলা, জার্মানির রানি।
১৪৩৩ - সম্রাট গো-কোমাত্সু, জাপানের সম্রাট।
১৯৫২ - মুহাম্মদ আবদুল্লাহিল বাকী, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামী।
১৯৯৭ - খান আতাউর রহমান, বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অভিনেতা, গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক, গায়ক, চলচ্চিত্র নির্মাতা, চিত্রনাট্যকার, কাহিনীকার এবং প্রযোজক। খান আতা নামেই তিনি বহুল পরিচিত। ১৯২৮ সালের ১১ ডিসেম্বর মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৫৯ সালে পাকিস্তানি পরিচালক আখতার জং কারদার পরিচালিত উর্দু ভাষার চলচ্চিত্র ‘জাগো হুয়া সাভের’তে মূল ভূমিকায় অভিনয়ের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্র জীবনের শুরু।
‘এ দেশ তোমার আমার’ তার অভিনীত প্রথম বাংলা চলচ্চিত্র। ‘নবাব সিরাজ উদ-দৌলা’ (১৯৬৭) এবং ‘জীবন থেকে নেয়া’ (১৯৭০) চলচ্চিত্র দিয়ে তিনি পরিচিতি লাভ করেন। ‘সুজন সখী’ (১৯৭৫) চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার হিসেবে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ‘এখনো অনেক রাত’ (১৯৯৭) চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক ও শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। তার প্রথম পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘অনেক দিনের চেনা’। তিনি ‘বাংলার কবি জসীম উদ্দীন’, ‘গঙ্গা আমার গঙ্গা’, ‘গানের পাখি আব্বাস উদ্দিন’সহ বেশকিছু তথ্যচিত্রও তৈরি করেছেন।
১৯৯৭ সালের ০১ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৭
এনএইচটি/এএ