অবিশ্বাস্য হলে সত্যি, বিশ্বে এরকম শহর আসলেই আছে। একটি নয়, বেশ কয়েকটি।
যুক্তরাষ্ট্রের নেব্রাস্কা(Nebraska) অঙ্গরাজ্যের মনোওয়ি শহরের জনসংখ্যা কখনোই তেমন বেশি ছিল না। ১৯৩০ সালে শহরটিতে প্রায় ১৫০ জন মানুষ বসবাস শুরু করে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে শহরের বাসিন্দারা অন্যত্র চলে যেতে শুরু করেন। ফলে কমতে থাকে এর জনসংখ্যা। ২০০০ সালের দিকে এক দম্পতি বাদে শহরের বাকি সবাই চলে যায়। চার বছর পর স্বামীর মৃত্যুর পর এলসি এইলার পরিণত হন মনোওয়ি শহরের একমাত্র বাসিন্দায়। তিনিই এখন এ শহরের মেয়র। তিনি নিজেই নিজেকে ট্যাক্স দেন এবং অ্যালকোহল বিক্রির লাইসেন্স ইস্যু করেন।
উনিশ শতাব্দীর ব্রিটিশ জরিপবিদ টমাস ক্যাসের নামানুসারে নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) এই শহরটির নাম রাখা হয়েছে। শহরে একটি রেলওয়ে স্টেশন রয়েছে, আর শহরের একমাত্র বাসিন্দা সেখানকার স্টেশন মাস্টার। শহরে ঘর-বাড়ির সংখ্যা মাত্র পাঁচটি। ১৯১০ সালের দিকে রেললাইন নির্মাণের সময় এ শহরের বাসিন্দার সংখ্যা ছিল প্রায় ৮০০ জন। ১৯৩৬ সালে চিত্রশিল্পী রিটা আংগাসের আঁকা ক্যাস রেলওয়ে স্টেশনের পেইন্টিংটি নিউজিল্যান্ডের সেরা চিত্রকর্মগুলোর একটি।
মধ্য ফ্রান্সের পাহাড়ঘেরা শহর রোশেফ্শারের জনসংখ্যা মাত্র একজন। তিনি ওই অঞ্চলে অবস্থিত প্রাচীন একটি প্রাসাদের তত্ত্বাবধায়ক।
যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ্ অঙ্গরাজ্যের বোনান্জা খনিজ তেলসমৃদ্ধ একটি শহর। কিন্তু এ শহরেরও স্থায়ী বাসিন্দা মাত্র একজন। তবে তেল উত্তোলন ও পরিবহনের কাজে আশেপাশের শহর থেকে অনেক কর্মীকে এ শহরে আসতে হয়। ছবিটা, বোনান্জা শহরের একটি তেলকূপের।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের দক্ষিণ-পশ্চিমের ওয়েল স্প্রিং রিজার্ভেশন হচ্ছে আমেরিকার আদি অধিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত একটি বিশেষ শহর। নাম ওয়েল স্প্রিং হলেও এখানে তেলটেল কিছুরই মজুদ আবিষ্কৃত হয়নি। ২০১০ সাল থেকে এ শহরে থাকছেন মাত্র একজন আদিবাসী।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের উত্তরাঞ্চলীয় শহর লোরি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সীমান্তবর্তী। কানাডার একটি প্রাসাদের নামানুসারে শহরটির নামকরণ করা হয়েছে। এ শহরের জনসংখ্যা মাত্র একজন। মূলত সীমান্তের চেক পয়েন্ট হিসেবে শহরটি ব্যবহৃত হয়। ছবির সাদা রেখাটি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সীমান্তকে নির্দেশ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৭
এনএইচটি/জেএম