এমনই এক দুপুরে রমনা পার্কের চেনা-পরিচিত দৃশ্যগুলো পাঠকদের জন্য ফ্রেমবন্দি করেছেন বাংলানিউজের স্টাফ ফটোগ্রাফার শাকিল আহমেদ।
ফিচার
ফটো স্টোরি
রমনা পার্কে চৈত্রের এক ক্লান্ত দুপুর
ঢাকা: চৈত্রের দুপুরে রমনা পার্কের গাছে গাছে ঝুলতে থাকা কাঁঠালের ঝাঁক বলে দিচ্ছে সামনেই মধু মাস। এদিকে ছাউনির নিচে শুয়ে শান্তির ঘুম দিয়েছেন এক ক্লান্ত শ্রমিক। আসন্ন মধুমাসের স্বপ্নই হয়ত খেলা করছিল তার মনে।
ঠিক রাখা চাই শরীর-স্বাস্থ্য। তাই দুপুর বেলাতেও পার্কের এক স্থানে কঠিন শারীরিক কসরত করতে ব্যস্ত এই প্রবীণ নাগরিক।
সবুজ পাতার আড়ালে ঝুলছিল বাদুড়টি। দেখে মনে হচ্ছিল, গাছ থেকে পাতা বা ফুল ছিড়ে খাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে সে।
বোতল কুড়ানোর ফাঁকে দুপুরের আহার সেরে নিচ্ছেন একজন পথনারী। তার চারপাশে কাকের ঝাঁক ভিড় করেছে উচ্ছিষ্টের আশায়।
সবুজ ঘাসের নরম চাদরে বসে আড্ডায় মেতেছেন একদল তরুণ-তরুণী। বিক্রির তাদের কাছে এগিয়ে এসেছেন এক হকার। দুই হাত নেই তার! তবুও জীবিকা নির্বাহের জন্য পার্কে ঘুরতে আসা মানুষদের কাছে পানি, চিপস, বিস্কিট, সিগারেট ইত্যাদি বিক্রি করেন।
দু’মুঠো খাবারের তাগিদে দুপুর বেলাতেও বকুল ফুল খুড়াচ্ছেন বৃদ্ধা মরিয়ম বেগম।
পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও হকারি করছেন রমনা পার্কে। পানির বোতল মাথায় নিয়ে পার্কের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন এক নারী।
পার্কের এ স্থানটি বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধিদের বসার জন্য সংরক্ষিত। যদিও চৈত্রের দুপুরে এ স্থানে বসে যারা আড্ডা দিচ্ছিলেন, তাদের দেখে বৃদ্ধ বা প্রতিবন্ধি কোনোটাই মনে হচ্ছিলো না।
ক্লান্তি শেষে রমনা পার্কের ছাউনিতে উদাম গায়ে বিশ্রাম করছেন এক ব্যক্তি। চৈত্রের শেষের দিকে দুপুর বেলায় রাজধানীর রমনা পার্কের এক টুকরো সবুজের বুকে এমন সব দৃশ্যেরই দেখা মেলে।
আরও পড়ুন:
শরবতের নামে কী খাচ্ছেন রাজধানীবাসী!
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০১৮
এনএইচটি