ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

ফেডারেশন কাপ থেকে মোহামেডানের বিদায়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৮ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৬
ফেডারেশন কাপ থেকে মোহামেডানের বিদায়

ঢাকা: মেহেদি হাসান তপুর জোড়া গোলে ফেডারেশন কাপ ফুটবলে টিম বিজেএমসির কাছে ২-১ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে ফেবারিট মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।

 

 
এই জয়ে ফেডারেশন কাপে ‘ডি’ গ্রুপ থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষআট নিশ্চিত করলো টিম বিজেএমসি।

একই গ্রুপ থেকে কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট অপর দল হলো রহমতগঞ্জ।

মঙ্গলবার (১৪ জুন) বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে টিম বিজেএমসির বিপক্ষে কিক অফের শুরু থেকেই দাপুটে ফুটবল খেলতে থাকে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ছোট ছোট পাস আর সংঘবদ্ধ ডিফেন্সচেড়া এক একটি আক্রমণে বিজেএমসিকে এক রকম চাপেই রাখে সাদা কালো শিবির।

এমন ধারালো আক্রমণের ধারাবাহিকতায় প্রথমার্ধের ২৫ মিনিটে গোলের দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলো জোসির শিষ্যরা। বিজেএমসির ডি বক্সের কিছুটা বাইরে থেকে মোহামেডানের সেনেগাল ডিফেন্ডার ইয়াইয়া সি’র অর্ধচন্দ্র ফ্রি-কিক গিয়ে আঘাত হানতে চেয়েছিলো বিজেএমসি জালে কিন্তু গোলরক্ষক হিমেল বলটি গ্লাভসবন্দি করলে গোলবঞ্চিত হয় মোহামেডান।

মোহামডানের এমন জোড়ালো আক্রমণের মুখে কোনঠাসা বিজেএমসি নড়েচড়ে বসে। মজার ব্যাপার হলো দলটি যখন নড়েচড়ে বসার সিদ্ধান্ত নেয়, ঠিক তখনই ধরা দিলো সাফল্য। কেননা, ৩৩ মিনিটে সাদা কালো শিবিরের একেবারে ডি-বক্সের সামনে ফ্রি-কিক পায় বিজেএমসি। ফ্রি-কিকে শট নেন খান মোহাম্মদ তারা। আর তারার ফ্রি-কিক থেকে গোলবারের একেবারে সামনে বলে পায়ের আলতো ছোঁয়া দিয়েই গোল রক্ষককে সম্পূর্ণ পরাস্ত করে জালে বল জড়ালে ১-০ তে এগিয়ে যায় টিম বিজেএমসি।

পিছিয়ে পড়ে আক্রমণ ‍আরও বাড়িয়ে ৩৮ মিনিটে বিজেএমসি সীমানায় যায় মোহামেডান। সেখানে সজীবের এগিয়ে দেওয়া বল থেকে গোলের দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন মিডফিল্ডার মাসুক মিয়া জনি। কিন্তু ফিনিশিংটা ঠিক মতো দিতে না পারায় নিশ্চিত গোল থেকে বঞ্চিত হয় মোহামেডান।

এখানেই শেষ নয়। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন সজীব। কিন্তু তার কিছুটা দুরপাল্লার শটটি গোলবারে গিয়ে ফিরে আসলে আবার হতাশা নেমে আসে সাদা কালো শিবিরে। ফলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় মোহামেডান।

বিরতি থেকে ফিরে খেলায় ফিরতে মরিয়া মোহামেডান বিজেএমসি সীমানা একের পর এক আক্রমণের পসরা সাজিয়েছে। কিন্তু ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে তাদের সফল দেয়নি। শুরুতে সফল না হলেও  মাঝামাঝি সময়ে এসে ঠিকই সফলতা পায় দলটি।

খেলার ৬৭ মিনিটে প্রায় ৪৫ গজ দ‍ূর থেকে গোলে শট নিয়েছিলেন মোহামেডান রাইট ব্যাক এহসানুল হক মিলন। আশ্চর্য্যজনকভাবে তার সেই শটটি গোলরক্ষক হিমেলের মাথার উপর বিজেএমসি জালে জড়ায়। তাতেই ১-১ সমতায় ফেরে মোহামেডান।

তবে মোহামেডান শিবিরের এই উল্লাস শেষ পর্যন্ত স্থায়ী হয়নি। কেননা ৮৩ মিনিটে কর্ণার পায় বিজেএমসি। কর্ণারে কিক নেন দলের মিডফিল্ডার আব্দুল্লাহ পারভেজ। আব্দুল্লাহ পারভেজের করা কর্ণারে মাথার জোড়ালো ছোঁয়ায় বল জালে জড়িয়ে দলকে ২-১ ব্যবধান এনে দেন তপু।
 
ম্যাচের বাদবাকি সময় আপ্রাণ চেষ্টা করেও সমতা আনতে না পেরে হারের গ্লানি নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৫ ঘণ্টা, ১৪ জুন ২০১৬
এইচএল 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।