রোনালদো অবশ্য বারবারই দাবি করছেন, তিনি নির্দোষ। তার বিরুদ্ধে ওঠা কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন।
মূলত পর্তুগালের সংবাদ মাধ্যম আ বোলা দাবি করেছে শুধু রিয়াল নয়, স্পেনেই আর খেলতে চান না রোনালদো এবং সেটা তিনি রিয়ালে তার সতীর্থদের নাকি জানিয়েও দিয়েছেন।
মাত্র সাত মাস আগেও কিন্তু ছবিটা ছিল সম্পূর্ণ উল্টো। ২০২১ পর্যন্ত রিয়ালের চুক্তিতে সই করে রোনালদো বলেছিলেন, ‘আমার জীবনের এটা বিশেষ দিন। রিয়াল আমার হৃদয়ে। আগামী পাঁচ বছর আমি এ ভাবেই গোল করে ক্লাবকে ট্রফি জিতিয়ে ইতিহাস গড়তে চাই। রিয়াল বিশ্বের সেরা ক্লাব। আমি এখান থেকেই অবসর নিতে চাই। ’ কিন্তু বর্তমানে কর বিতর্কের জেরে পুরো পরিস্থিতিটাই বদলে গিয়েছে।
সদ্য সমাপ্ত মৌসুমে রিয়ালের চ্যাম্পিয়নস লিগ ও লা লিগা জয়ের ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা নিয়েছিলেন সি আর সেভেন। ফাইনালে জুভেন্টাসের বিরুদ্ধে জোড়া গোলও করেছিলেন তিনি। চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের আগেই অবশ্য স্পেনের আয়কর দফতর নতুন করে তদন্ত শুরু করে রোনালদোর বিরুদ্ধে। তাদের অভিযোগ, কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য ‘ইমেজ রাইটস’ থেকে প্রাপ্ত অর্থ স্পেনের বাইরে অন্য কোনও দেশের ব্যাংকে জমা রেখেছেন রোনালদো। একই অভিযোগ রয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ম্যানেজার হোসে মোরিনহোর বিরুদ্ধেও।
রোনালদো রিয়াল ছাড়ার হুমকি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে। ইতিমধ্যেই পর্তুগাল অধিনায়ককে নেওয়ার জন্য আসরে নেমেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, প্যারিস সেন্ট জার্মেই সহ একাধিক ক্লাব। কিন্তু ফুটবল মহলের মতে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনাই প্রবল সি আর সেভেনের। কারণ, ইতিমধ্যেই ম্যানইউ ছেড়ে দিয়েছে জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচকে।
আগামী মৌসুমে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে রোনালদোই তাদের সেরা অস্ত্র। তা ছাড়া ম্যানইউয়ের প্রতি তার নিজেরও যে দুর্বলতা রয়েছে, তা চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের আগেই প্রকাশ করে ফেলেছিলেন তিনিও।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫১ ঘণ্টা, ১৭ জুন, ২০১৭
এমএমএস