ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

শিরোপা ধরে রাখতে পারবে বাফুফে?

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫০ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৭
শিরোপা ধরে রাখতে পারবে বাফুফে? শিরোপা ধরে রাখতে পারবে বাফুফে?

বিশ্বকাপতো বহুদূর। দেশের ফুটবলের যা প্রেক্ষাপট তাতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপই বাংলাদেশের জন্য বিশ্বকাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিযোগিতার দৌড়ে জাতীয় দল এশিয়ার অন্য দলগুলোর তুলনায় পেছালেও ২০১৫ সালটি বাফুফের জন্য ছিল কিছুটা স্বস্তির।

এ সালেই অনূর্ধ্ব-১৬ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ঘরে তুলেছিল বাংলাদেশ। আবার সেই টুর্নামেন্ট বাফুফের সামনে কড়া নাড়ছে অনূর্ধ্ব-১৫ হয়ে।

টুর্নামেন্টটি বয়সভেদে ১৬ থেকে ১৫ করা হয়েছে।

চলতি বছরের অাগস্ট মাসে টুর্নামেন্টটি মাঠে গড়াবে নেপালে। তাই বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ হবে শিরোপা ধরে রাখার।

সে কথা মুখেই না হয় বলা যায়, চ্যালেঞ্জ কঠিন হবে। তবে, বয়সভিত্তিক বাংলাদেশের ফুটবল অবস্থা করুন হওয়ার চ্যালেঞ্জটিও শংকটের মুখে। কারণ বাফুফের হাতে আছে মাত্র ১ মাস!

এই এক মাসে ট্রায়াল, প্রশিক্ষণ-প্রস্তুতি সকল কাজ শেষ করতে হবে। যদিও ট্রায়াল শেষ হয়েছে মাত্র। এখনও তো প্রস্তুতি-প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা বাকি আছে। তার ওপর ঈদের বন্ধ।

ঈদের পরেই এই টুর্নামেন্টের প্রস্তুতিতে নেমে পড়বে বাফুফে। ২০১৫ সালে স্বাগতিক হয়ে শিরোপা লাভের পেছনে ওই দলটি ছয়-সাত মাসের ঘাম ঝড়ানো প্রস্তুতি ছিল। এবার তো শুরুই হয়নি কিছুই। তাহলে কি দায়সাড়া দল পাঠানোর চিন্তা দেশের ফুটবলের অভিভাবক বাফুফের?

বাফুফের ট্যাকনিকাল ডিরেক্টর বিএ যোবায়ের নিপু জানান, 'চ্যালেঞ্জটা অসম্ভব। গতবার ওরা ছয়-সাত মাসের প্রস্তুতি নিয়েছিল। এবার মাত্র এক মাস। '

এবার শুধু পাইওনিয়ার ফুটবল লিগের খেলোয়াড় নিয়ে দলগঠন করা হচ্ছে। শতাধিক কিশোর ফুটবলারদের থেকে বেছে নেয়া হয়েছে ১৮ জনকে। তাদের নিয়ে এই আসরের প্রস্তুতি নিবে বাফুফে।

নিপু জানান, 'আমাদের হাতে ক্রীড়া পরিষদের প্রতিভা অন্বেষন কর্মসূচি থেকে বাছাই করা ৬৪ জন ফুটবলার আছে। ক্রীড়া পরিদফতরের টুর্নামেন্ট থেকে ১০ জনকে বাছাই করেছি। এ ছাড়া গত বছর সুপার মক কাপে খেলা ২৫ জন আছে। পল স্মলি দেশে ফিরলেই এখান থেকে আবার ট্রায়াল হবে। এরপর জুলাইয়ে ২৫ ফুটবলারকে নিয়ে হবে ক্যাম্প। '

অন্তত পক্ষে তিন মাসের প্রস্তুতির প্রয়োজন ছিল।  ফিজিক্যাল, টেকনিক্যাল ও ট্যাকটিক্যাল এ পর্ব শেষ করতে সময় দরকার ছিল। এক মাসে এগুলো শেষ করা টাফ। তাছাড়া গতবার আমাদের মাটিতে টুর্নামেন্ট ছিল। এবার বাহিরে। তাই গতবারের তুলনায় এবার চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি। '

এদিকে প্রস্তুতি নেয়ার জন্য অনূর্ধ্ব-১৬ দলের কোচও নির্ধারণ করা হয়নি এখনও। গতবারের সৈয়দ গোলাম জিলানীর হাত ধরেই এসেছিল শিরোপা। সিনিয়র ডিভিশনে পাতানো খেল নিয়ে মন্তব্য করায় শাস্তির মুখোমুখি তিনি। শাস্তির সুপারিশ দিয়েছে মহানগর ফুটবল লিগ কমিটি।

সবকিছু মিলিয়ে এ যাত্রা কঠিন হবে বাফুফের। শিরোপা ধরে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। যদিও নিপু আশবাদী, ট্রায়ালে মান সম্মত কিছু খেলোয়াড় পাওয়া গেছে। তাদের নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। '

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, ২৪ জুন, ২০১৭
জেএইচ/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।