ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

সুস্থতায় পাতে থাক ‘সুপারফুড’ ডিম

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২৩
সুস্থতায় পাতে থাক ‘সুপারফুড’ ডিম

প্রতিবছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার বিশ্ব ডিম দিবস উদযাপিত হয়। সে হিসাবে আজ (১৩ অক্টোবর) ডিম দিবস।

  

ডিমকে বলা হয় ‘সুপারফুড’। তবে ৫০ গ্রামের একটি ডিমে রয়েছে প্রায় ২১২ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল। কোলেস্টেরলের নাম শুনেই অনেকে ডিম খাওয়া বন্ধ করে দেন।  

এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলেন, শরীরের সুষ্ঠু ও পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতিদিন প্রায় ৩০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল প্রয়োজন। এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, খাদ্যের মাধ্যমে গৃহীত কোলেস্টেরল মানব শরীরের রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় না।  

বিভিন্ন ধরনের খাদ্যগুণ রয়েছে ডিমে। বিশেষ দিনে জেনে নিন কেন ডিম খেতেই হবে 

প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, ফসফরাস, আয়রন, জিংক, ম্যাঙ্গানিজসহ সব উন্নত পুষ্টি উপাদান থাকায় ডিমের গুরুত্ব অনেক। সুপারফুড ডিম মাংসপেশি, মস্তিষ্কের টিস্যু গঠন ও মেধা বিকাশে সহায়তা করে।  

ডিমের প্রোটিনে রয়েছে মানুষের জন্য অত্যাবশ্যকীয় সকল সঠিক মাত্রার এমাইনো অ্যাসিড যা অতিরিক্ত ওজন কমাতে সহায়তা করার পাশাপাশি রক্তসঞ্চালন, দেহের ক্ষয়পূরণ ও বৃদ্ধি সাধনে সহায়ক।  

ডিমের কোলিন মস্তিস্ক কোষ গঠন ও সিগনালিং সিস্টেমে কাজ করে মানুষের স্মরণশক্তিকে বাড়িয়ে দেয়। ডিমের কুসুমে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ লিউটিন ও জিয়াজেন্থিন যা চোখে ছানি পড়াসহ রেটিনার কর্মক্ষমতা ক্ষয় সংক্রান্ত অসুখ ‘ম্যাকুলার ডিজেনারেশন’ প্রতিরোধ করে দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত করে।  

 সারাদিন কাজের ফাঁকে প্রায়ই ক্লান্তি চলে আসে, পেয়ে বসে তন্দ্রা। এই তন্দ্রা ও ক্লান্তি কাটানোর জন্য অনেকেই বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, শরীরের সেরোটোনিন হরমোনের মাত্রা কমে গেলে মানসিক অবসাদের সৃষ্টি হয়। ডিম সেরোটোনিন তৈরির ভালো উপাদান। এতে আরও রয়েছে ফলিক অ্যাসিড যা মুড বুস্টার হিসেবে কাজ করে।

ডিমপ্রিয় মানুষের জন্য আরও একটি সুখবর আছে। ডিমের অন্যান্য গুণের সঙ্গে টাইপ-২ ডায়াবেটিস দূর করার ক্ষমতা রয়েছে। ‘দ্য আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন’ এ প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে চারটি ডিম টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।

যারা সপ্তাহে একটি ডিম খান তাদের তুলনায় যারা সপ্তাহে চারটি ডিম খান তাদের টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি ৩৭ ভাগ কম।  

এক-একজনের ডিম খাওয়ার ধরনও আলাদা, কারো পোচের মাঝখানে জ্বলজ্বল করতে থাকে হলদে কুসুম, কেউ বা খান পরোটা দিয়ে পেঁয়াজ মরিচের মামলেট, কেউ বা মাশরুমসহ, ডিম ভুনা বা চিলি অ্যান্ড গার্লিক সঙ্গে দিয়ে। যেভাবেই খাওয়া হোক ডিমের পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় সব ভাবেই।  

 শিশু থেকে বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ সবাই সকালের নাস্তায় একটি ডিম খেতে পারেন বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদরা। তবে উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিসের মতো শারীরিক সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ মতো ডিম খেতে হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১২০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২৩
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।