অ্যাস্থেটিক প্লাস্টিক সার্জারির চাহিদা এখন আর শুধু উন্নত বিশ্বের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বাংলাদেশেও এই বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। আধুনিক জীবনযাত্রা, আয়ের প্রবৃদ্ধি ও আত্মসচেতনতার কারণে এখন নারী-পুরুষ উভয়েই সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিরাপদ ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি বেছে নিচ্ছেন।
দেশের মানুষের এমন চাহিদার কথা ভেবে ইউনাইটেড হেলথকেয়ারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ধানমণ্ডির মেডিক্স-এ গড়ে উঠেছে বাংলাদেশের সর্বপ্রথম পূর্ণাঙ্গ অ্যাস্থেটিক সার্জারি সেন্টার।
‘ইউনাইটেড কেআরএস অ্যাস্থেটিক অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি সেন্টার’ নামের এ সেন্টারটিতে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সর্বাধুনিক ও সর্বোচ্চ মানের প্রযুক্তি সংযোজন করা হয়েছে। নিরাপদ প্লাস্টিক সার্জারি সেবা নিশ্চিত করার জন্য দেশবরেণ্য প্লাস্টিক সার্জনদের নেতৃত্বে তৈরি করা হয়েছে অ্যাস্থেটিক সার্জারির টিম। একই সঙ্গে বাংলাদেশে অ্যাস্থেটিক সার্জারির ভবিষ্যৎ চর্চা ও বিকাশের জন্য সেন্টারটিকে একটি উন্নত প্রশিক্ষণকেন্দ্র ও একাডেমিক হাব হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে।
দেশের তিন প্রথিতযশা প্লাস্টিক সার্জন—অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম, অধ্যাপক ডা. মো. সাজ্জাদ খোন্দকার ও অধ্যাপক ডা. রায়হানা আউয়ালের নেতৃত্বে ইউনাইটেড কেআরএস অ্যাস্থেটিক অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি সেন্টার গঠিত।
বাংলাদেশের প্লাস্টিক সার্জারির চিকিৎসার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রয়েছে এই তিন অভিজ্ঞ সার্জনের।
বাংলাদেশে গত এক দশকে অনেক আধুনিক হাসপাতাল গড়ে উঠলেও অ্যাস্থেটিক সার্জারির ক্ষেত্রে বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা এখনো রয়েছে। এর মধ্যে মানসম্মত পরিবেশ, প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের স্বল্পতা অন্যতম। এ কারণে প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক মানুষ প্লাস্টিক সার্জারির জন্য থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও ভারতের মতো দেশের মুখাপেক্ষী হতে বাধ্য হচ্ছেন।
এ বিষয়ে ইউনাইটেড কেআরএস অ্যাস্থেটিক অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি সেন্টারের সিনিয়র কনসালট্যান্ট; জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক; বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও চিকিৎসাসেবায় এগিয়েছে। মানুষের জীবনমানেরও পরিবর্তন এসেছে। যার কারণে বাহ্যিক সৌন্দর্য নিয়ে মানুষের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। তবে আস্থার সংকটের কারণে রোগীদের বিদেশমুখিতা কমছে না। আমাদের এই সেন্টারটি করার উদ্দেশ্য হলো মানুষের মধ্যে অ্যাস্থেটিক সার্জারির ব্যাপারে আস্থার জায়গা সৃষ্টি করা, মানুষ যাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এবং বিশেষজ্ঞ প্লাস্টিক সার্জনদের সেবা বাংলাদেশেই নিতে পারেন। ’
রোগীকেন্দ্রিক ‘পার্সোনালাইজড প্লাস্টিক সার্জারি’ সেবা
রোগীর শারীরিক অবস্থা ও প্রয়োজন বিশ্লেষণ করে ইউনাইটেড কেআরএস সেন্টারে রোগীকেন্দ্রিক বিশেষায়িত পার্সোনালাইজড অ্যাস্থেটিক সার্জারি প্ল্যান তৈরি করা হয়। সার্জারির প্রতিটি ধাপ পূর্বপরিকল্পিতভাবে নির্ধারণ করা হয়, যাতে রোগীর নিরাপত্তা, সার্ভিস এবং কাঙ্ক্ষিত ফল নিশ্চিত করা যায়।
এই পরিকল্পনার প্রতিটি পর্যায়ে বিশেষজ্ঞ প্লাস্টিক সার্জনরা রোগীর অবস্থা সম্পর্কে অবহিত থাকেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ‘টাইম-টু-টাইম’ সমাধান দিয়ে থাকেন। এমনকি সার্জারি-পরবর্তী যত্ন ও পুনর্বাসনপ্রক্রিয়াও থাকে তাদের সার্বক্ষণিক নজরদারিতে। চিকিৎসার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইউনাইটেড কেআরএস সেন্টার রোগীর পাশে থাকবে প্রতিটি পদক্ষেপে।
সব ধরনের অ্যাস্থেটিক অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির জন্য প্রস্তুত এই সেন্টার, যার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হলো—
অ্যাস্থেটিক সার্জারি সেবাসমূহ
♦ টামি টাক
♦ লাইপোসাকশন
♦ আই লিড সার্জারি (ব্লেফারোপ্লাস্টি)
♦ নাকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি (রাইনোপ্লাস্টি)
♦ ফেস, নেক ও বডি লিফট
♦ ঠোঁটের সৌন্দর্য বৃদ্ধি
♦ ব্রেস্ট কেয়ার প্লাস্টিক সার্জারি
♦ সব ধরনের জেনিটাল প্লাস্টিক সার্জারি
♦ হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট
♦ সব ধরনের অ্যাস্থেটিক ও রিকনস্ট্রাকটিভ প্লাস্টিক সার্জারি।
নন-সার্জিকাল সেবাসমূহ
♦ স্কার ম্যানেজমেন্ট
♦ কিলয়েড ক্লিনিক
♦ স্কিন রিজুভিনেশন
♦ বোটক্স, ফিলার ও ইনজেকটেবলস
♦ PRP ও PRF
♦ ন্যানো ফ্যাট গ্রাফটিং
♦ স্টেম সেল থেরাপি
♦ ওবেসিটি ম্যানেজমেন্ট
♦ সব ধরনের লেজার এবং নন-সার্জিক্যাল বডি কনটুরিং
এ বিষয়ে ইউনাইটেড কেআরএস অ্যাস্থেটিক অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি সেন্টারের কনসালট্যান্ট; সহযোগী অধ্যাপক (প্লাস্টিক সার্জারি) ডা. হোসাইন ইমাম বলেন, “দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে আমরা দেখেছি, এ দেশের রোগীদের আস্থার সংকটের অন্যতম জায়গা হলো উন্নত প্রযুক্তির স্বল্পতা। এই সমস্যা সমাধানে ইউনাইটেড কেআরএস সেন্টারে যুক্ত করা হয়েছে বিশ্বমানের প্রযুক্তি; যেমন—মডার্ন লাইপোসাকশনের জন্য এই সেন্টারে দেশে প্রথমবারের মতো যুক্ত হতে যাচ্ছে VASER (Vibration Amplification of Sound Energy at Resonance) প্রযুক্তি, যাতে রোগী ব্যথাহীন পদ্ধতিতে দ্রুত লাইপোসাকশন সেবা পেতে পারেন। পেটের মাংসপেশি সংকোচনের (toning) জন্য থাকছে Intraoperative Radiofrequency Device (IRFD)। এটি একটি মিনিমালি ইনভ্যাসিভ প্রসিডিউর, যেখানে লাইপোসাকশন-পরবর্তী চামড়া ঝুলে পড়ার সমাধানে স্কিন টাইটেনিং (Skin tightening) করা হয়। VASER, IRFD I MicroAire Liposuction-এর মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে ন্যূনতম সময়ে স্থূলতা (Obesity) সার্জারির অ্যাস্থেটিক সমাধানে চমক নিয়ে আসবে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে এন্ডোস্কপিক প্লাস্টিক সার্জারির প্রযুক্তি যুক্ত করার মাধ্যমে কাটাছেঁড়া ছাড়াই eye brow lift, face lift ও neck lift-এর মতো অ্যাস্থেটিক সার্জারিগুলো করা সম্ভব হবে।
পাশাপাশি অতিরিক্ত স্থূলতা বা মোটা শরীরের রোগীদের ওজন কমাতে থাকছে ব্যারিয়াট্রিক সার্জারি । যাঁদের BMI ≥ ৩৫ এবং সঙ্গে গুরুতর শারীরিক জটিলতা রয়েছে, অথবা BMI ≥ ৪০ এবং যাঁরা শুধু ডায়েট ও ব্যায়ামে সফল হননি, তাঁদের জন্য এটি একটি কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি।
ইউনাইটেড কেআরএস সেন্টারে যুক্ত করা হয়েছে হেয়ার অ্যানালাইজারসহ আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট মেশিন। পাশাপাশি PRP, Peptide, Exosome ও LLLT সুবিধা সংযোজন সেন্টারটিকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ হেয়ার ক্লিনিকে রূপ দেবে, যেখানে যৌক্তিক মূল্যে সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করা যাবে।
উদাহরণস্বরূপ থাইল্যান্ডে যেখানে একটি চুল প্রতিস্থাপনে (পার গ্রাফট) খরচ হয় এক হাজার থেকে বারো শ টাকা, সেখানে এই সেন্টারের লক্ষ্য চুল প্রতিস্থাপনের এই খরচ গ্রাফটপ্রতি সর্বোচ্চ ১০০ টাকার মধ্যে নিয়ে আসা। ”
৩৬০ ডিগ্রি হলিস্টিক অ্যাস্থেটিক ও প্লাস্টিক সার্জারি সলিউশন
বাংলাদেশের হেলথকেয়ার ল্যান্ডস্কেপে এর আগে কখনোই যা দেখা যায়নি তা হলো, প্লাস্টিক ও অ্যাস্থেটিক সার্জারির একটি পূর্ণাঙ্গ সমাধান। সার্জারির জন্য এখানে আছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির মডুলার ওটি। পুরো ইউনিটে থাকবে হেপা ফিল্টারের সুরক্ষা, যা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ০.৩ মাইক্রন কণাও অপসারণ করতে সক্ষম।
ইউনাইটেড কেআরএস অ্যাস্থেটিক অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি সেন্টারে শুধু অ্যাস্থেটিক ও প্লাস্টিক সার্জারির ব্যবস্থাই থাকছে না, একই সঙ্গে থাকছে আনুষঙ্গিক সাপোর্ট সেন্টার। সার্জারি-পরবর্তী রোগীর কথা বিবেচনা করে থাকছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পোস্ট-অপারেটিভ রুম, যা ২৪/৭ অভিজ্ঞ ডাক্তার ও নার্স দ্বারা পরিচালিত। একই সঙ্গে থাকছে ২৪/৭ ল্যাব সুবিধা। অ্যাস্থেটিক সার্জনদের পাশাপাশি রয়েছে হরমোন বিশেষজ্ঞ, পুষ্টিবিদ, ফিজিওথেরাপিস্ট, গাইনোকোলজিস্ট, চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ, ডেন্টিস্ট ও মেন্টাল হেলথ কাউন্সিলিং সার্ভিস, যাতে একজন রোগী তাঁর সার্জারি পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সব সমস্যার সমাধান একই ছাদের নিচে একই সেন্টার থেকেই পেয়ে যান।
এ বিষয়ে ইউনাইটেড কেআরএস অ্যাস্থেটিক অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি সেন্টারের সিনিয়র কনসালট্যান্ট; ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সাবেক বিভাগীয় প্রধান, বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি অধ্যাপক ডা. মো. সাজ্জাদ খোন্দকার বলেন, “দেশের অ্যাস্থেটিক সার্জারির ক্ষেত্রে এখনো সামাজিক ট্যাবু রয়ে গেছে। একই সঙ্গে চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত অভিজ্ঞ প্লাস্টিক সার্জনের অভাব রয়েছে। তাই একই ছাদের নিচে আমাদের এই ব্যবস্থা, যাতে ট্যাবু কাটিয়ে মানুষকে মানসম্মত অ্যাস্থেটিক সার্জারি সেবা দেওয়ার পাশাপাশি এই সেক্টরে প্রশিক্ষিত জনবল তৈরি করা সম্ভব হয়। ”
ইউনাইটেড কেআরএস অ্যাস্থেটিক অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি সেন্টারের সিনিয়র কনসালট্যান্ট; জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. রায়হানা আউয়াল সুমী বলেন, “বেসরকারি পর্যায়ে অ্যাস্থেটিক সার্জারির জনপ্রিয়তা বাড়ানো এবং মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির কাজটি এখনো শুরু হয়নি। আমাদের সেন্টারটি করার উদ্দেশ্য হলো মানুষের নির্ভরশীলতার একটা জায়গা তৈরি করা। ”
প্রশিক্ষিত জনবল তৈরিতে একাডেমিক অগ্রযাত্রা
দেশজুড়ে অ্যাস্থেটিক সার্জারির চর্চা দিন দিন বাড়ছে, তবে দীর্ঘদিন ধরে এই খাতে নিরাপদ চিকিৎসা পরিবেশ, আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং একাডেমিক গবেষণার অভাব ছিল। ইউনাইটেড কেআরএস অ্যাস্থেটিক অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি সেন্টার সেই শূন্যস্থান পূরণে এগিয়ে এসেছে—একটি আধুনিক, সুরক্ষিত ও বৈজ্ঞানিক প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলেছে, যেখানে বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা যেমন নিশ্চিত করা হচ্ছে, তেমনি তৈরি হচ্ছে একটি একাডেমিক হাব, যা আগামী দিনের দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।
এখানে অভিজ্ঞ সার্জনদের অপারেশন কার্যক্রম ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে, যেখানে অন্য চিকিৎসক, শিক্ষার্থী ও সহকর্মীরা অংশ নিতে পারবেন এবং পারস্পরিক মতবিনিময়ের মাধ্যমে শিখতে পারবেন বাস্তব সময়েই। এটি শুধু একটি চিকিৎসাকেন্দ্র নয়, বরং একটি জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র, যা বাংলাদেশের অ্যাস্থেটিক ও প্লাস্টিক সার্জারির ভবিষ্যৎ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
এ বিষয়ে মেডিক্সের হেড অব অপারেশনস সালমীন রাফিক বলেন, “বর্তমানে হাজার হাজার বাংলাদেশি অ্যাস্থেটিক সার্জারির জন্য বিদেশে যাচ্ছেন, কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য এই প্রবণতা পরিবর্তন করা। ইউনাইটেড কেআরএস সেন্টারে আমাদের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সার্জন, নিয়মিত প্রশিক্ষিত স্টাফ, বার্ষিক বিদেশি সার্জন ক্যাম্প এবং CME সেশনগুলো থাকবে। এর মাধ্যমে আমরা এমন মানসম্মত সেবা প্রদান করব, যাতে ভবিষ্যতে বিদেশ থেকেও রোগীরা বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাদের এই সেন্টারে চিকিৎসা নিতে আসেন। আমরা মেডিক্সকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম মেডিক্যাল ট্যুরিজম গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা রোগীদের জন্য এমন আন্তর্জাতিক মানের সার্বিক সেবা ও যত্ন নিশ্চিত করব, যা এ দেশে এর আগে কখনো দেখা যায়নি। ”
বাংলাদেশের দুর্বার গতির অগ্রযাত্রায় মানুষের শিক্ষার অগ্রগতী হয়েছে এবং আয়ের ব্যাপক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এর সঙ্গে সঙ্গে আত্মসচেতনতাও বেড়েছে। বেড়েছে তাদের ভেতরে সৌন্দর্য নিয়ে ভাবনা। বাহ্যিক সৌন্দর্য মানুষকে দেয় তারুণ্যের আত্মবিশ্বাস। আজকের প্রজন্ম বাহ্যিক সৌন্দর্যকে শুধু বিলাসিতা নয়, বরং আত্মপ্রকাশ ও আত্মবিশ্বাসের অংশ হিসেবে বিবেচনা করে। একসময় এই ধরনের অ্যাস্থেটিক ও প্লাস্টিক সার্জারি সেবা নিতে বিদেশে যেতে হতো, এখন সেই সেবা দেশেই বিশ্বমানের পরিসরে সহজলভ্য।
ইউনাইটেড কেআরএস অ্যাস্থেটিক অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি সেন্টার আগামী দিনগুলোতে এই পরিবর্তনের নেতৃত্ব দেবে। আধুনিক প্রযুক্তি, আন্তর্জাতিক মানের নিরাপদ চিকিৎসা পরিবেশ এবং অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত এই সেন্টারটি বাংলাদেশের অ্যাস্থেটিক সার্জারির অঙ্গনে একটি নতুন যুগের সূচনা করবে।
সূত্র: কালের কণ্ঠ