ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ সফর ১৪৪৭

স্বাস্থ্য

চীন-বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা উন্নয়ন প্রদর্শনীর উদ্বোধন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৩২, আগস্ট ৮, ২০২৫
চীন-বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা উন্নয়ন প্রদর্শনীর উদ্বোধন

রাজধানীতে ‘নি হাও, চীন-বাংলাদেশ স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা উন্নয়ন প্রদর্শনীর’ উদ্বোধন করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর বনানীতে হোটেল সারিনায় এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নূরজাহান বেগম বলেন, চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যখনই বাংলাদেশ কোনো সমস্যা বা দুর্যোগের মুখোমুখি হয়, তখনই চীন আমাদের দীর্ঘস্থায়ী বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে সেই সমস্যাগুলি কাটিয়ে ওঠার জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। সম্প্রতি, মাইলস্টোন কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনার পর চীন আমাদের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য তাৎক্ষণিক চিকিৎসক দল পাঠিয়েছে।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, গত বছর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় চীন এগিয়ে এসেছিল। শুধু তাই নয়, চীন সরকারের অনুদানের মাধ্যমে রংপুর অঞ্চলে ১ হাজার শয্যা বিশিষ্ট একটি হাসপাতাল নির্মাণ, সরঞ্জাম সরবরাহ এবং ডাক্তার, নার্স এবং টেকনিশিয়ানদের প্রশিক্ষণ বাস্তবায়ন করা হবে।

জুলাই যোদ্ধাদের জন্য একটি পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপনের সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, চীনের জনগণের এই বন্ধুত্বপূর্ণ এবং কল্যাণকর উদ্যোগের জন্য বাংলাদেশ চীনের জনগণ এবং সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ।

নূরজাহান বেগম বলেন, জুলাই আন্দোলনে অনেকেই চোখ হারিয়েছে, হাত হারিয়েছে, পঙ্গু হয়েছে। চীন আমাদের রোবোটিক হাত-পা দিয়েছে যা আহতদের জীবনে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কার বাস্তবায়ন, বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করা, নিয়ন্ত্রক কাঠামো সহজকরণ এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রমের জন্য অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে অবিচল রয়েছে। চীনা মেডিসিন ইকুইপমেন্ট উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে।

এ সময় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, চীন আধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তি ও উচ্চমানের হাসপাতাল পরিষেবায় বিশ্বজুড়ে পরিচিত। আমরা বাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে একটি টেকসই স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই।

স্বাস্থ্য বিষয়ক এই প্রদর্শনীতে চীনের ১০টিরও বেশি শীর্ষস্থানীয় হাসপাতাল অংশ নিয়েছে। তারা বাংলাদেশি রোগীদের জন্য উন্নত চিকিৎসা সহজলভ্য করতে অন-সাইট ও অনলাইন কনসালটেশন, ভিসা ইনভাইটেশন লেটার ও প্রসেসিং, অনুবাদক সেবা এবং বিমানবন্দর পিকআপ সুবিধাসহ বিভিন্ন সহায়তার কথা তুলে ধরেন।

বেল্ট অ্যান্ড রোড হেলথকেয়ার সেন্টার দিনব্যাপী এই এক্সপোর আয়োজন করেছে। এ সময় স্বাস্থ্য প্রশাসনের প্রতিনিধি, চিকিৎসা বিশেষজ্ঞসহ রোগী ও সাধারণ দর্শনার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরকেআর/এমইউএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।