ঢাকা, সোমবার, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

স্বাস্থ্য

রাতে বার বার প্রস্রাব মানেই কি ডায়াবেটিস?

স্বাস্থ্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৪৫, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫
রাতে বার বার প্রস্রাব মানেই কি ডায়াবেটিস?

ঘন ঘন প্রস্রাব বা রাতে বার বার শৌচাগারে যাওয়া— এই উপসর্গ দেখা দিলে অনেকেই শঙ্কিত হন। তার মানে কি ডায়াবেটিস হয়েছে? বয়স্কদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি।

অন্তঃসত্ত্বারাও এ সমস্যায় ভোগেন। জেনে রাখুন, ডায়াবেটিসের একটি অন্যতম লক্ষণ হলেও ঘন ঘন বা অধিক প্রস্রাব অন্যান্য সমস্যার কারণেও হতে পারে।

একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি দিনে চার থেকে আটবার মূত্রত্যাগ করে থাকেন। পরিমাণ যা-ই হোক না কেন, দিনে আটবারের বেশি প্রস্রাব করলে তাকে ঘন ঘন প্রস্রাব হিসাবে গণ্য করা হয়। বিভিন্ন বয়সে প্রস্রাবের স্বাভাবিক পরিমাণ বিভিন্ন। তবে স্বাভাবিক অবস্থায় কোনো পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির প্রস্রাবের পরিমাণ ২৪ ঘণ্টায় তিন লিটার বা এর অধিক হলে তা অস্বাভাবিক। চিকিৎসার পরিভাষায় একে বলে ‘পলিইউরিয়া’।

ঘন ঘন প্রস্রাব বা অধিক পরিমাণ প্রস্রাব— উপসর্গ দুটো আলাদা। অনেক ক্ষেত্রেই এ দুটো একসঙ্গে দেখা যায়। কেন না প্রস্রাবের পরিমাণ বেড়ে গেলে প্রস্রাব ঘন ঘন হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রেই ঘন ঘন প্রস্রাবের মূল কারণ হলো অধিক বা অস্বাভাবিক পরিমাণে পানি পান করা। একে ‘সাইকোজেনিক পলিডিপসিয়া’ বলা হয়।

কিছু ক্ষেত্রে শারীরবৃত্তীয় কারণেই বেশি প্রস্রাব হতে পারে। যেমন অতিমাত্রায় পানীয় বা অ্যালকোহল সেবন, ক্যাফিনযুক্ত পানীয় গ্রহণ, শীত মৌসুমে যখন ঘামের পরিমাণ কমে যায়, গর্ভাবস্থায়, প্রস্রাব বৃদ্ধিকারক ওষুধ সেবন, ১০ হাজার ফুট ওপরে ভ্রমণের সময়ে কিংবা অধিক মাত্রায় ভিটামিন সি ও বি২ গ্রহণ ইত্যাদি। এসব কারণ খুবই স্বাভাবিক। শরীরে কিছু রোগ বাসা বাঁধলেও ঘন ঘন প্রস্রাবের সমস্যা হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো:

ডায়াবেটিস ছাড়া অন্য যে কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়:

* মূত্রনালি বা মূত্রথলির সংক্রমণ

* গর্ভাবস্থার প্রথম ও শেষ দিকে

* বয়স্ক পুরুষদের প্রস্টেট গ্রন্থির সমস্যায়

* স্নায়ুরোগ, মূত্রথলির স্নায়ুবিকলতা, মূত্রথলির ক্যানসার

* মস্তিষ্কের টিউমার, অস্ত্রোপচার, আঘাত, কিডনি রোগের কারণে মূত্র নিয়ন্ত্রক এডিএউচ হরমোনের অভাব বা অকার্যকারিতা দেখা দেয়

* শরীরে থাইরয়েড হরমোন বা করটিসল হরমোনের আধিক্য হলে

* রক্তে ক্যালশিয়াম বা পটাশিয়ামের তারতম্য ঘটলে

ঘন ঘন প্রস্রাব বা অধিক পরিমাণ প্রস্রাব কোনো রোগ নয় বরং রোগের উপসর্গ মাত্র। এর কারণে শরীরে পানিশূন্যতা, পানির ভারসাম্যহীনতা, সোডিয়ামের ভারসাম্যহীনতার সমস্যা হতে পারে। তাই এ সমস্যায় আক্রান্ত হলে অবশ্যই ডায়াবেটিস বা অন্যান্য সমস্যা আছে কি না, তা পরীক্ষা করে নেওয়া জরুরি।

এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।