ঢাকা : ঘাড় ও কোমড়সহ মেরুদণ্ডের ব্যথায় হাড়-মাংস না কেটে এখন বাংলাদেশেই বিশ্বের সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি লেজার সার্জারির মাধ্যমে রোগীকে পুরোপুরি সুস্থ করে তোলা সম্ভব।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ‘নিরাপদ’ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এ পদ্ধতিতে কোনো ঝুঁকি ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
তাছাড়া, লেজার চিকিৎসা কাটা-ছেঁড়াবিহীন অত্যন্ত অল্প সময়ে হওয়ায় খুব দ্রুত সারা বিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বলে প্রেস বিঞ্জপ্তিতে বলা হয়।
শনিবার চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে মূল প্রবন্ধে ইনস্টিটিউট অব লেজার সার্জারি অ্যান্ড হসপিটালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী এ কথা জানান।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর আমিনউদ্দিন এ খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফিজিক্যাল অ্যান্ড রিহেবিলিশান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শেখ আহমেদ। হাসপাতালের বিভিন্ন স্তরের চিকিৎসকরা এতে অংশ নেন।
মূল প্রবন্ধে ডা. ইয়াকুব আলী বলেন, লেজার চিকিৎসার মাধ্যমে স্থানচ্যুত নরম হাড় আগের অবস্থায় ফিরে আসে এবং মেরুদ-ের কর্ড ও নার্ভরুটের উপর থেকে চাপ কমে গিয়ে রোগী স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
এছাড়া লেজারের অপটো-থারমো-মেকানিক্যাল স্টিমুলেশনের মাধ্যমে ছিঁড়ে যাওয়া চারপাশের শক্ত আঁশ ও ছোট ছোট রক্তনালীর ক্ষমতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তিনি বলেন, লেজার চিকিৎসার মাধ্যমে শুধু মেরুদ-ই নয়- কাটা-ছেঁড়া না করেই অত্যন্ত অল্প সময়ে মহিলাদের জরায়ুমুখের প্রদাহ ও ক্ষত সম্পূর্ণভাবে সারিয়ে তোলা সম্ভব।
বাংলাদেশ সময় : ১৮০৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৩
সালাম ফারুক/সম্পাদনা: সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর