ঢাকা: ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ার পর শিশুদের অসুস্থতা নিয়ে দেশজুড়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে একটি কুচক্রি মহল।
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প থেকে এ অপপ্রচার শুরু করা হয়েছে।
এসব ঘটনার জন্য অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চার সদস্যদের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শফিকুল ইসলাম লস্করকে প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা: ক্যাপ্টেন (অব) মজিবুর রহমান ফকির, স্বাস্থ্য সচিব এম এম নিয়াজ উদ্দিন আহমেদ এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা: খন্দকার মোহাম্মদ সিফায়েত উল্লাহ এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “দেশের জেলা, উপজেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও হাসপাতালে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খেয়ে কোথাও নিশ্চিতভাবে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। অথচ কুচক্রি মহলের গুজবের কারণে আতঙ্কিত হয়ে অনেক বাবা-মা ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো থেকে বিরত থেকেছেন। ”
তিনি আরও বলেন, “হাসপাতালে মাত্রাতিরিক্ত রোগী ভিড় করার কারণে অপপ্রচার, গুজবে ভীত দেখা দেয়। এছাড়া কো-মরবিন কন্ডিশন দায়ী। কিছু শিশুর আগে থেকেই সিজিনাশ রোগ- এআরআই, সর্দিকাশি, বমি, ডায়রিয়া, পেট ফাঁপা বা নিস্তেজভাব ছিল। ফলে এসব উপসর্গের জন্য অনেকেই ভিটামিন এ ক্যাপসুলকে দায়ী করেছেন।
তিনি বলেন, “প্রকৃতপক্ষে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল আন্তর্জাতিক মানের। সিঙ্গাপুর থেকে পরীক্ষাগারে পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েই এ ওষুধ দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এ ধরনের সমস্য মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি ছিল। সম্ভাব্য সমস্যা চিহ্নিত করে চিকিৎসা গাইডও আগেই মেডিক্যাল টিমের কাছে পাঠানো হয়েছিল।
স্বাস্থ্য সচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক সংবাদ সম্মেলনে জানান, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার থেকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো নিয়ে চক্রান্ত শুরু হয়। কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প থেকে অপপ্রচার চালানো হয়। একটি মসজিদ থেকে মাইকিং করে বলা হয়, ভারতের ওষুধ। এটি খাওয়ালে অসুবিধা হবে।
তারা জানান, এ চক্রান্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিলে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৩
এসএমএ/সম্পাদনা: নূরনবী সিদ্দিক সুইন, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর