ঢাকা: নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ। গ্লুকোমা রোগের (চোখের রোগ বিশেষ) চিকিৎসা, এ সম্পর্কে প্রচারণা এবং সচেতনতা বাড়াতে ‘বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ পালন’ কর্মসূচি হাতে নেয় বাংলাদেশ গ্লুকোমা সোসাইটি।
গত ১০ মার্চ বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ শুরু হয়। শনিবার ছিলো কর্মসূচির শেষ দিন।
সমাপনী দিনে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহের অংশ হিসেবে বিনামূল্যে সেবা দেয় সংগঠনটি।
শেষ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে আনুষ্ঠানিক ফ্রি স্ক্রিনিং সেবার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ চক্ষু চিকিৎসক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. শাহাব উদ্দিন। এ সময় বাংলাদেশ গ্লুকোমা সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক সৈয়দ মারুফ আলী, মহাসচিব ডা. মিজানুর রহমানসহ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজকরা জানান, বিশ্ব গ্লকোমা সপ্তাহ শুরু হয় ১০ মার্চ। শনিবার শেষ দিন। এই সময়ে গ্লুকোমা রোগের প্রতিরোধ, প্রতিকার, চিকিৎসা এবং সচেতনতা বাড়াতে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ফ্রি চিকিৎসা সেবাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় সংগঠনের মহাসচিব ডা. মিজানুর রহমান বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত বাংলাদেশেও এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে। কিন্তু গ্লুকোমা এমন রোগ যার প্রাথমিক কোন উপসর্গ থাকে না। তবে এটি ধীরে ধীরে ও নীরবে মানুষের দৃষ্টি শক্তিকে ধ্বংস করে দেয়।
তিনি জানান, বর্তমানে আমাদের দেশে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ গ্লুকোমা রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসায় গ্লুকোমা থেকে রক্ষা পাওয়া যায় বলেও জানান তিনি।
মহাসচিব বলেন, এই রোগ থেকে রক্ষা পেতে হলে ৪০ বছর বয়স থেকে চক্ষু পরীক্ষার সঙ্গে গ্লুকোমা রোগের পরীক্ষা করতে হবে।
স্ক্রিনিং কর্মসূচির পরে একটি ছোট ৠালি বের করে বাংলাদেশ গ্লুকোমা সোসাইটি। ৠালিতে গ্লকোমা চিকিৎসকরা অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৩
এসএআর/ সম্পাদনা: জনি সাহা, নিউজরুম এডিটর, সুকুমার সরকার, কো-অর্ডিনেশন এডিটর