ঢাকা: বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ‘প্রায়োরিটি হেলথ কার্ড’ চালু করলো কলকাতার মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল পিয়ারলেস। দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় কলকাতার পিয়ারলেস হসপিটালকে সহযোগিতা করবে।
রোববার বিকেলে রাজধানীর বারিধারা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, মিডিয়া উপদেষ্টা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, পিয়ারলেস হাসপাতালের হেড অব মার্কেটিং তরুণ চক্রবর্তী, বাংলাদেশে পিয়ারলেস হাসপাতালের আঞ্চলিক সমন্বয়ক ইয়াকুব আলী প্রিন্স, পিয়ারলেস হাসপাতালের বাংলাদেশি ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর রোমানা স্বর্ণা প্রমুখ।
বসুন্ধরা গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “বসুন্ধরা গ্রুপ মানুষের বিভিন্ন মৌলিক প্রয়োজন মেটাতে কাজ করে থাকে। স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে বসুন্ধরা দেশবাসীর জন্য কাজ করতে চায়, তাই কলকাতার স্বনামধন্য পিয়ারলেস হাসপাতালের সঙ্গে কাজ করছে। অলাভজনক ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই পিয়ারলেসের সঙ্গে কাজ করছে বসুন্ধরা। ”
মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “বসুন্ধরা গ্রুপ সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় তিনটি হাসপাতাল তৈরি করবে। মানিকগঞ্জ, কেরানীগঞ্জ ও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এই হাসপাতাল তৈরি করা হবে। পিয়ারলেস হাসপাতালের জন্য পিয়ারলেসের নিজস্ব অফিস ছাড়াও বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি ভবন ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে। ”
পিয়ারলেস হাসপাতালের হেড অব মার্কেটিং তরুণ চক্রবর্তী বলেন, “বাংলাদেশে বসুন্ধরা গ্রুপ সাধারণ মানুষের জন্য যেমন কাজ করে থাকে, তেমনি পিয়ারলেস গ্রুপ কলকাতায় সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে। পিয়ারলেস গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস কে রায় নারায়ণগঞ্জের মানুষ। তিনি ভারত সরকার কর্তৃক সমাজসেবার জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন। কলকাতায় বাঙালি পরিচালিত একটি বিশ্বমানের হাসপাতাল করেছে পিয়ারলেস। ”
তিনি আরও বলেন, “প্রতিদিনই বাংলাদেশ থেকে শত শত মানুষ পিয়ারলেস হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে যায়। আমরা বসুন্ধরার সঙ্গে এপার-ওপার বাংলায় অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল মানুষের জন্য আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার রূপরেখা বাস্তবায়ন করতে কাজ করছি। সমাজে যারা মানুষের সঙ্গে অধিক সম্পৃক্ত, তাদের এই কার্ড দেওয়া হবে। তারাই সমাজের মধ্যবিত্ত ও আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষদের চিকিৎসার জন্য পিয়ারলেসে পাঠাবে অথবা ঢাকা থেকেই সেবা নিতে পারবে। ”
তরুণ চক্রবর্তী বলেন, “বাংলাদেশ ও কলকাতার বাঙালি চিকিৎসকদের মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তোলা হবে। পারস্পরিক যোগাযোগ বাড়ানোর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জন্য বিশ্বমানের সেবা নিশ্চিত করা হবে। বসুন্ধরা গ্রুপ আমাদের এই সমাজসেবামূলক কাজে এগিয়ে এসেছে। বাঙালি চিকিৎসকরা পৃথিবীর বিভিন্ন বড় বড় হাসপাতালে কাজ করছেন, তাদের সঙ্গে তরুণ বাঙালি চিকিৎসকদের সেতুবন্ধন গড়ে তোলা হবে। ”
বাংলাদেশে পিয়ারলেস হাসপাতালের আঞ্চলিক সমন্বয়ক ইয়াকুব আলী প্রিন্স বলেন, “প্রায়োরিটি হেলথ কার্ডের মাধ্যমে সব ধরনের স্বাস্থ্যসেবা পাবেন। লাইভ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশি চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ঢাকায় বসে কলকাতার পিয়ারলেস হাসপাতালের ৪০টি বিভাগের ১৩৪ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার সুযোগ থাকবে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে কলকাতায় যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। ”
তিনি জানান, কার্ড হোল্ডারকে প্রতিমাসে নিয়মিত প্রিভেন্টিভ চেকআপ করানো হবে। মূল্য তালিকা থেকে ডিসকাউন্ট, ই-মেইলে চিকিৎসা পরামর্শ, জরুরি ভিসায় সহযোগিতা, কর্মশালার ও সেমিনারের আয়োজন করা হবে।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ও স্বাস্থ্যসেবা পেতে dhaka@peerlesshospital.com ঠিকানায় ই-মেইল এবং ০১৭৩৩ ২১২ ৪০০ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০১৩
এমআইআর/ সম্পাদনা: হাসান শাহরিয়ার হৃদয়, নিউজরুম এডিটর/আরআর