ঢাকা: জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহে আড়াই কোটি শিশুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম শাখার লাইন ডিরেক্টর ডা. বেনজীর আহমেদ বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
শনিবার সকালে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, “আর্ন্তজাতিক কোম্পানি জনসন এন জনসনের ‘শিশুদের কৃমি নিয়ন্ত্রণ’ (সিডাব্লিউডাব্লিউ) কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আড়াই কোটি আবেন্ডাজল ও মেবেন্ডাজল ওষুধ খাওয়ানো হবে। ”
এই ওষুধ খাওয়ানো নিয়ে কোনোরকম গুজবে বিশ্বাস না করার অনুরোধ জানান তিনি।
বেনজীর আহমেদ বলেন, “স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ কর্মসূচির জন্য আগে নিজেরা ওষুধ কিনতো। কিন্তু ২০০৮ সাল থেকে জনসন এন জনসন কোম্পানি ওষুধ দিচ্ছে। ”
বেনজীর আহমেদ বলেন, “সপ্তাহের কার্যক্রম সফল করতে এরই মধ্যে দেশের ৬৪ জেলার ৮২ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে গেছে কৃমিনাশক ওষুধ মেবেন্ডাজল। ”
শিশুদের ভরপেটে ওষুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “তা না হলে হালকা বমি ভাব হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এতে ভয়ের কিছু নেই। ”
উল্লেখ্য, কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ উপলক্ষে সারাদেশে ৫ থেকে ১২ বছর বয়েসী সব শিশুকে এক ডোজ মেবেন্ডাজল (৫০০মি.গ্রা.) সেবন করানোর কর্মসূচি হাতে নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে বিদ্যালয়গামী শিশুদের জন্য এই সপ্তাহ পালন করা হবে।
ডা. বেনজীর আহমেদ বলেন, “কার্যক্রমটি প্রতিটি স্কুলে পরিচালিত হবে। সপ্তাহব্যাপী দেশের প্রায় ৮২ হাজার শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় আড়াই কোটি শিশুকে বিনামূল্যে কৃমিনাশক ওষুধ সেবন করানো হবে। ”
তিনি বলেন, “জেলাগুলোতে সংসদ সদস্য ও সিভিল সার্জনরা এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও এ কর্মসূচি সফল করতে অংশ নেবেন। ”
তিনি আরও বলেন, “এ কার্যক্রমের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের প্রায় ৯০ ভাগ শিশুর কৃমিনাশক ওষুধ সেবন করানো হয়। ফলে শিশুদের কৃমি সংক্রমণের হার ২০০৫ সালে প্রায় ৮০ শতাংশ থাকলেও ২০১২ সালে তা কমে ২০ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশে নেমে এসেছে। ”
কৃমিনাশক ওষুধ সেবন কার্যক্রমে চিলড্রেন উইদাউট ওয়ার্ম ২০১১ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৪টি জেলার জন্য মেবেন্ডাজল সরবরাহ করেছে। ২০১২ সাল থেকে তারা ৬৪ জেলার জন্যই মেবেন্ডাজল অনুদান হিসেবে সরবরাহ করছে বলে জানান তিনি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃমি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সফল করতে হলে গ্রাম ও শহরে একসঙ্গে কৃমিনাশক ওষুধ সেবনের সচেতনতা বাড়াতে হবে। শহরের শিশুদের মধ্যেও কৃমি সংক্রমণ হয়ে থাকে। এজন্য শহর-গ্রামের সব শিশুরই নিয়মিত ওষুধ সেবন করা উচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৩
এমএন/ সম্পাদনা: হাসান শাহরিয়ার হৃদয়, নিউজরুম এডিটর, আশিস বিশ্বাস, অ্যাসিস্ট্যান্ট আউটপুট এডিটর