ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

শিশুর জন্মগত হৃদরোগ: আতংক নয়, প্রয়োজন ধৈর্য্যধারণ

মো. আবু জাফর সাদেক, স্বাস্থ্যডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৩
শিশুর জন্মগত হৃদরোগ: আতংক নয়, প্রয়োজন ধৈর্য্যধারণ

ঢাকা: বিশ্বে প্রতি এক হাজার শিশুর মধ্যে ন্যূনতম ৮ জন জন্মগত হৃদরোগ নিয়ে জন্মায়। আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে এ রোগের প্রকোপ মৃদু থেকে তীব্রতর হতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার প্রকাশিত তথ্য মতে, বিশ্বে  হৃদরোগ নিয়ে জন্মানো শিশুর শতকরা ১৫ ভাগ ভারতে, ১০ ভাগ শ্রীলংকায়, ৬ ভাগ বাংলাদেশে, ৬ ভাগ মিয়ানমারে এবং বাকি ৬৩ ভাগ অবশিষ্ট দেশসমূহে অবস্থিত।

বাংলাদেশের শিশুদের মধ্যে এই রোগ বৃদ্ধির হার বেশ উদ্বেগজনক। শিশুর জন্মগত হৃদরোগ বলতে হৃৎপিন্ড ও সংশ্লিষ্ট রক্তনালি সমূহের গঠন, কার্যপ্রণালি প্রভৃতির অস্বাভাবিকতাকে বোঝায়। শ্রেণিভেদে জন্মগত হৃদরোগ নানাভাগে বিভক্ত।

ধারণা করা হয় বংশগত বা পরিবেশগত কারণে জন্মগত হৃদরোগ হয়ে থাকে, তবে বলে রাখা প্রয়োজন জন্মগত হৃদরোগ প্রতিরোধের কোন ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। কিছু কিছু জন্মগত হৃদরোগ শিশুর জন্মের পরপরই প্রকাশ পায়, আবার কিছু কিছু জন্মগত হৃদরোগ সারা জীবন অপ্রকাশিত বা অজানা থেকে যায়।

এক্সরে, ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাম প্রভৃতি পরীক্ষা পদ্ধতি দ্বারা অতি সহজেই জন্মগত হৃদরোগ শনাক্ত করা যায়। অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা স্টেথোস্কোপ এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে স্পর্শ করার মাধ্যমেও কিছু জন্মগত হৃদরোগ সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন।

সচরাচর দেখা যায় এমন কিছু জন্মগত হৃদরোগ সম্পর্কে নিচে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো-

ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্ট (ভিএসডি): জন্মগত হৃদরোগীদের মধ্যে সর্বোচ্চ শতকরা ৩৬ ভাগ এই সমস্যায়  আক্রান্ত। ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্ট বলতে বুঝায় হৃদপিন্ডের বাম ও ডান ভেন্ট্রিকলকে পৃথককারী পর্দার মধ্যে এক বা একাধিক ছিদ্রের উপস্থিতি।   ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্ট থাকলে শিশুর শরীরে অক্সিজেন যুক্ত বিশুদ্ধ রক্ত অনাকাঙ্খিত ভাবে কার্বন ডাই অক্সাইড সমৃদ্ধ দূষিত রক্তের সাথে মিশে যায়, যা নানা সমস্যার সৃষ্টি করে। ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্ট খুব ছোট হলে তা কোন লক্ষণ প্রকাশ করে না এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে তা আপনা আপনি ভালো হয়ে যায়। তবে ছিদ্রের আকার বড় হলে বাচ্চার ‘হার্ট ফেইলিউর’ হতে পারে। দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ , শ্বাস কষ্ট, বুকের অস্বাভাবিক ওঠানামা, বয়স অনুপাতে ওজন না বাড়া, বার বার কাশি বা সর্দি লাগা, অল্পতেই হাঁপিয়ে ওঠা, গায়ের রং পরিবর্তন হয়ে নীল হয়ে যাওয়া প্রভৃতি এ রোগের প্রধান লক্ষণ।

কার্ডিয়াক ক্যাথেরাইজেশনের মাধ্যমে বড় কোন কাটা-ছেড়া ছাড়াই এ রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব, তবে অনেক ক্ষেত্রে বড় ধরনের অস্ত্রোপচার প্রয়োজন।

এট্রিয়াল সেপ্টাল ডিফেক্ট (এএসডি) : হৃৎপিন্ডের উপরের অংশের দুটি প্রকোষ্ঠের মাঝে ছিদ্র থাকলে তাকে এট্রিয়াল সেপ্টাল ডিফেক্ট বলে। ছোট আকারের ছিদ্র থাকলে ভিএসডি’র মত এএসডিও আপনা আপনি ঠিক হয়ে যায়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই সমস্যা ভালো না হলে কার্ডিয়াক ক্যাথেরাইজেশন বা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এ রোগের চিকিৎসা করা হয়। এট্রিয়াল সেপ্টাল ডিফেক্টের লক্ষণ ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্টের মতই। এট্রিয়াল সেপ্টাল ডিফেক্ট  মোট জন্মগত হৃদরোগের শতকরা ৪ ভাগের অধিক।

এট্রিও ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্ট (এভিএসডি): এই সমস্যাটি একটু জটিল প্রকৃতির। মোট জন্মগত হৃদরোগের শতকরা ৪ ভাগ রোগী এ সমস্যায় আক্রান্ত। এখানে হৃৎপিন্ডের দুই প্রকোষ্ঠের মাঝখানে ছিদ্র থাকে তৎসঙ্গে রক্ত প্রবাহ নিয়ন্ত্রণকারী ভালবগুলো সঠিকভাবে কাজ করে না। এট্রিও ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্ট হলে হৃৎপিন্ড অতিরিক্ত পরিশ্রম করে ফুসফুসে বেশি বেশি রক্ত পাঠায়, ফলশ্রুতিতে হৃৎপিন্ড আকারে বড় হয়ে যায় এবং ফুসফুসে রক্তচাপ বেশ বেড়ে যায়। জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এ রোগের চিকিৎসা দেয়া হয়। এই রোগের লক্ষণসমূহ অনেকটা ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্টের মতই, তবে মারাত্মক ক্ষেত্রে শরীরে পানি জমা, অতিরিক্ত ঘামা, শরীরে পানি জমে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি পাওয়া, গায়ের রং নীল হয়ে যাওয়া প্রভৃতি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

পালমোনারি স্টেনোসিসঃ জন্মগত হৃদরোগীদের সংখ্যা বিবেচনায় পালমোনারি স্টেনোসিসের অবস্থান দ্বিতীয়। জন্মগত হৃদরোগীদের শতকরা ৯ ভাগেরও বেশি এ সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকে। আমাদের শরীরে পালমোনারি ভালভের অবস্থান হলো রাইট ভেন্ট্রিকল ও পালমোনারি আর্টারির মাঝে এবং এতে তিনটি লিফলেট বা পাতা থাকে যা ফুসফুসে রক্তের একমুখী প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। পালমোনারি স্টেনোসিসের ক্ষেত্রে পালমোনারি ভালভ সংশ্লিষ্ট লিফলেটগুলো বা পালমোনারি আর্টারিগুলো সঠিকভাবে রক্ত প্রবাহ নিশ্চিত করতে পারে না ফলে রাইট ভেন্ট্রিকল থেকে ফুসফুসে রক্ত প্রবাহে ব্যাঘাত ঘটে। অনেক ক্ষেত্রেই শিশু বড় না হওয়া পর্যন্ত এই রোগের কোন লক্ষণ প্রকাশ পায়না, তবে চিকিৎসা না করালে অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হতে থাকে।

বুকে ব্যথা, শ্বাস কষ্ট, জ্ঞান হারানো, ক্লান্তি অনুভব করা, বুক ধরফর করা এ রোগের প্রধান লক্ষণ। রোগীর অবস্থা বিবেচনায় কম কাটাছেড়ার কার্ডিয়াক ক্যাথেরাইজেশন বা বড় ধরনের অস্ত্রপচারের মাধ্যমে এ রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়।

কোয়ার্কটেশন অফ অ্যাওর্টাঃ শিশুদের মোট জন্মগত হৃদরোগের শতকরা ৫ ভাগ হয়ে থাকে কোয়ার্কটেশন অফ অ্যাওর্টা। আওর্টা হলো আমাদের শরীরে প্রধান রক্তনালি যা হৃৎপিন্ড থেকে শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত সরবরাহ করে। এ অ্যাওর্টার কোন অংশ স্বাভাবিকের চেয়ে চিকন হয়ে গেলে তাকে কোয়ার্কটেশন অব অ্যাওর্টা বলে। প্রচণ্ড ঘাম, সব সময় পা ঠাণ্ডা থাকা, ওজন বৃদ্ধি না পাওয়া, দুই পা শরীরের অনুপাতে চিকন হয়ে যাওয়া, পায়ে পালস না পাওয়া বা দুর্বল পালস, শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্ট হওয়া প্রভৃতি এ রোগের প্রধান লক্ষণ।

বেলুন ডায়ালেশনের মাধ্যমে বড় কোন অস্ত্রোপচার ছাড়া কোয়ার্কটেশন অফ অ্যাওর্টার চিকিৎসা সম্ভব। তবে অনেক ক্ষেত্রে বড় রকমের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়।

বাইকাসপিড এওর্টিক ভালভ ডিজিসঃ এওর্টিক ভালভের অবস্থান আমাদের হৃৎপিন্ড ও অ্যাওর্টার (প্রধান রক্তনালি) মাঝে যা শরীরে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত সরবরাহের গতিপথ ঠিক রাখে।   সাধারণত ভালভে তিনটি লিফলেট থাকে যার বন্ধ ও খোলার মাধ্যমে রক্তের গতি প্রবাহ নিয়ন্ত্রিত হয়। কোন শিশুর ভালভে তিনটির পরিবর্তে দু’টি লিফলেট থাকলে তাকে বাইকাসপিড এওর্টিক ভালভ ডিজিস বলে। বড় কোন সমস্যা না হলে শিশু বড় না হওয়া পর্যন্ত এ রোগের কোন লক্ষণ প্রকাশ পায় না। কারও কারও ক্ষেত্রে সারা জীবনে এ রোগ কোন সমস্যা সৃষ্টি করে না বা অজানা থেকে যায়। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ভালভ প্রতিস্থাপন বা ক্যাথেরাইজেশনের মাধ্যমে ভালভোপ্লাস্টি করে এই রোগের চিকিৎসা দেয়া হয়। শ্বাস কষ্ট, অতি সহজেই হাঁপিয়ে যাওয়া, প্রচণ্ড ঘাম প্রভৃতি এ রোগের প্রধান লক্ষণ।

প্যাটেন্ট ডাক্ট আর্টেরিওসিস (পিডিএ): জন্মের পরপরই অনেক শিশু এই সমস্যায় ভোগে। এই রোগে হৃৎপিন্ডের সাথে যুক্ত দুটি প্রধান রক্তনালিতে অস্বাভাবিক রক্ত প্রবাহ হয়ে থাকে। এই দুটি রক্ত নালি হলো অ্যাওর্টা (প্রধান রক্তবাহী নালি) ও পালমোনারি আর্টারি (ফুসফুসে রক্ত সরবরাহনালি)। সাধারণভাবে শিশু মায়ের পেটে থাকা অবস্থায় এই দুটি রক্তনালি ছোট অন্য একটি রক্তনালি দ্বারা সংযুক্ত থাকে। শিশুর জন্মের পরপরই বা জন্মের কয়েক দিনের মধ্যে আ্যাওর্টা ও পালমোনারি আর্টারির সংযোগ আপনা-আপনি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অনেক শিশুর ক্ষেত্রে এই সংযোগ বন্ধ হয় না। এই সমস্যাকে প্যাটেন্ট ডাক্ট আর্টেরিওসিস বলে। নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই জন্মলাভ করা শিশুরা এই রোগের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক ক্ষেত্রে বয়স বাড়ার সাথে সাথে প্যাটেন্ট ডাক্ট আর্টেরিওসিস আপনা আপনি ভালো হয়ে যায়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই সমস্যা ভালো না হলে কার্ডিয়াক ক্যাথেরাইজেশনের মাধ্যমে এই রোগের চিকিৎসা দেওয়া যায়। এ সমস্যা মারাত্মক আকারের হলে বড় রকমের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়। শ্বাস কষ্ট, বুক ধরফর করা, ওজন না বাড়া এ রোগের প্রধান লক্ষণ। মোট জন্মগত হৃদরোগীর শতকরা ৯ ভাগের পিডিএ হয়ে থাকে।

টেরাটোলোজি অফ ফলেটঃ এ সমস্যাটি ৪ টি ভিন্ন ভিন্ন রোগের সমষ্টিগত ফলাফল। রোগ চারটি হলো বড় আকারের ভেন্ট্রিকুলার সেপ্টাল ডিফেক্ট, পালমোনারি স্টেনোসিস, রাইট ভেন্ট্রিকুলার হাইপারট্রফি (হৃৎপিন্ডের ডান ভেন্ট্রিকলে মাংস বৃদ্ধি) এবং অ্যাওর্টার অবস্থানগত অসামঞ্জস্যতা সাধারণভাবে অ্যাওর্টা লেফট ভেন্ট্রিকলের সাথে যুক্ত থেকে সারা শরীরের অক্সিজেন যুক্ত বিশুদ্ধ রক্ত সরবরাহ করে। টেরাটোলজি অফ ফলেটের ক্ষেত্রে অ্যাওর্টা (প্রধান রক্তবাহী নালী) বাম ও ডান ভেন্ট্রিকলের মাঝে ও ভিএসডি’র ওপরে অবস্থান করে। প্রতি ১০,০০০ শিশুর ৫ জন টেরাটোলজি অফ ফলেট নিয়ে জন্ম লাভ করে। এ রোগের প্রধান লক্ষণ হলো শিশুর পুরো শরীর নীল বর্ণ হয়ে যাওয়া। বাকি লক্ষণসমূহ ভিএসডির অনুরূপ। জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এ রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয়।

আর্টেরিয়াল ট্রান্সপজিশনঃ আমাদের শরীরে প্রধান দুটি রক্তনালি হলো অ্যাওর্টা ও পালমোনারি আর্টারি। অ্যাওর্টা হৃৎপিন্ডের বাম ভেন্ট্রিকল থেকে অক্সিজেন যুক্ত বিশুদ্ধ রক্ত সারা শরীরে সরবরাহ করে আর পালমোনারি আর্টারি ডান ভেন্ট্রিকল থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড যুক্ত দূষিত রক্ত ফুসফুসে প্রেরণ করে।  

উল্লেখ্য, সারা শরীর থেকে কার্বন ডাই অক্সাইডযুক্ত দূষিত রক্ত হৃৎপিন্ডের ডান ভেন্ট্রিকলে আসে এবং তা ফুসফুসে গিয়ে পরিশোধিত হয়। আর্টেরিয়াল ট্রান্সপজিশনের ক্ষেত্রে রক্ত ফুসফসে গিয়ে পরিশোধিত হবার আগেই সারা শরীরে ছড়িয়ে যায়, কারণ অ্যাওর্টা ও পালমোনারি আর্টারি সঠিক অবস্থানে থাকে না। শিশুর সারা শরীর নীল হয়ে যাওয়া এ রোগের অন্যতম প্রধান লক্ষণ। মোট জন্মগত হৃদরোগীর শতকরা ৪ ভাগ এ সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকে। জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এ রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব।

কোথায় জন্মগত হৃদরোগের চিকিৎসা পাওয়া যায়ঃ সরকারিভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (শাহবাগ, ঢাকা), ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও রিসার্চ ইন্সটিটিউট (মিরপুর, ঢাকা), ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব কার্ডিওভাসকুলার ডিজিস (শেরে বাংলা নগর, ঢাকা), ঢাকা শিশু হাসপাতাল (শেরে বাংলা নগর, ঢাকা), সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকা এবং বেসরকারি ভাবে ল্যাব এইড হাসপাতাল (ধানমন্ডি, ঢাকা), অ্যাপোলো হাসপাতালসহ আরও কিছু হাসপাতালে জন্মগত হৃদরোগের আধুনিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ থেকে অনেক সামর্থ্যবান বাবা মা তাদের সন্তানের জন্মগত হৃদরোগ চিকিৎসা করাতে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল, থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতাল, ভারতের ফরটিস এসকোর্ট, নারায়ানা হৃদয়ালয় (ডাঃ দেবী শেঠী), রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউশন অব কার্ডিয়াক সায়েন্সেস প্রভৃতি হাসপাতালে গিয়ে থাকেন।

চিকিৎসা ব্যয়ঃ বাংলাদেশে কার্ডিয়াক ক্যাথেরাইজেশনের মাধ্যমে বেলুন ডাইলেশন করাতে হাসপাতাল ভেদে ৪০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে থাকে। ক্যাথেরাইজেশনের মাধ্যমে ডিভাইস স্থাপনে খরচ হয় ১.৫ লক্ষ থেকে ২.৫ লক্ষ টাকা। জন্মগত হৃদরোগের অস্ত্রোপচারের খরচ আনুমানিক ১.৫ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকা যা রোগীর অবস্থা ও হাসপাতালের ধরণের ওপর নির্ভরশীল।
ভারতে অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে শুধু চিকিৎসা ব্যয় ৪ থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে অস্ত্রপচার করালে চিকিৎসা ব্যয় হয় ৮ থেকে ১৬ লক্ষ টাকা।

চিকিৎসাকালঃ ক্যাথেরাইজেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করালে ৩-৪ দিনের বেশি হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন হয় না, তবে অস্ত্রোপচার হলে হাসপাতাল ছাড়তে ১৫ থেকে ২৫ দিন পর্যন্ত লাগতে পারে। জন্মগত হৃদরোগ সংক্রান্ত আরও অধিকতর তথ্য জানতে নিম্ন ঠিকানায় যোগাযোগ করা যেতে পারে-

মো. আবু জাফর সাদেক, ফার্মাসিস্ট, সিনিয়র ডেপুটি ম্যানেজার, রেনাটা লিমিটেড, ঢাকা
e-mail: azs_sohel@yahoo.com  মোবাইল-০১৮১৭০৪৯৪৭২

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৩
সম্পাদনা: রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।