ঢাকা: অটিজম সমস্যার নিরসন ও প্রতিরোধে জাতীয় কৌশলপত্র প্রায় চূড়ান্ত বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. অধ্যাপক আ ফ ম রুহুল হক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে অটিজম সমস্যা এখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মসূচির আওতায় এসেছে।
বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সাংবাদিকদের একথা জানান।
এসময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. ক্যাপ্টেন (অব.) মুজিবুর রহমান ফকির, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্তসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেনেভায় অনুষ্ঠিত ৬৬তম বিশ্বস্বাস্থ্য সম্মেলনের নানা দিক বিস্তারিতভাবে তুলে ধরতে মূলত এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “আগামী এক মাসের মধ্যে অটিজম বিষয়ক একটি জাতীয় কৌশলপত্র চূড়ান্ত করা হবে। প্রস্তাবিত কৌশলপত্রের খসড়ার ৮০ শতাংশ কাজ হয়ে গেছে। ২০ শতাংশ কাজ বাকি আছে। আশা করি আগামী মাসের মধ্যে এটি চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে। ”
রুহুল হক বলেন, “গত মে মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৩৩তম নির্বাহী কমিটির বোর্ড সভায় বাংলাদেশের প্রস্তাবিত অটিজমের ওপর রেজুলেশনটি গৃহীত হয়েছে। বাংলাদেশের আহ্বানে বিশ্বের ৫৪টি দেশ এটিকে গ্রহণের প্রস্তাব সমর্থন করেছে। ৪০টি দেশ আলোচনায় অংশ নেয়। এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, ভারত ও চীনও রয়েছে। “
তিনি আরো বলেন, “প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার ফলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মসূচিতে অটিজম সমস্যা গুরুত্ব সহকারে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এখন থেকে এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে অটিজম নিয়ে কর্মসূচি হাতে নিতে হবে। ”
তবে বাংলাদেশে অটিজম শনাক্তকরণ এবং প্রতিরোধ কার্যক্রম স্তিমিত এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “না তেমনটি নয়। আমাদের সফলতার কারণেই এটি আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য কর্মসূচিতে স্থান পেয়েছে। ”
এসময় তিনি সম্মেলনের বিস্তারিত তুলে ধরেন সাংবাদিকদের কাছে।
একই প্রশ্নে প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, “২০০৯ সাল থেকে অটিজম নিয়ে আমরা কার্যক্রম শুরু করি। ২০১০ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দুই দফায় প্রায় সাড়ে ৪শ’ চিকিৎসককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ৯টি ব্যাচে ৭০ জনকে নতুন করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আমরা অটিস্টিক শিশুদের মায়েদের নিয়ে একটি ফোরাম গঠন করেছি। প্রাথমিক পর্যায়ে যাতে এটি শনাক্ত করা যায় সে লক্ষ্যে সরকার এবং বিএসএমএমইউ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ১২ জুন, ২০১৩
এসএআর/এমআইআর/সম্পাদনা: এম জে ফেরদৌস, নিউজরুম এডিটর; এনএস