ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০১৩
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ

ঢাকা: ডায়াবেটিস রোগের কারণে বিশ্বে অন্ধত্বের হার বাড়ছে। এই রোগ প্রতিরোধ করতে পারলে অন্ধ হওয়ার সংখ্যাও কমে আসবে।

এর জন্য প্রয়োজন জনসচেতনতা, আর জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যমের ভ‍ূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ’ আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

আলোচনা সভায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্স এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. লিয়াকত আলী বলেন, শরীরে ব্লাড প্রেসার ও সুগার কমিয়ে এবং ধূমপান বন্ধ করে ডায়াবেটিকস প্রতিরোধ করা যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জীবন যাপন করলে এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। কিন্তু আমরা অনেকেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হইনা। তাই আম‍াদের এই রোগে ভুগতে হয়। এর জন্য দরকার জনসচেতনতা। আর এই কাজটি করতে হবে গণমাধ্যমকে।

সভায় বলা হয়, বর্তমান বাংলাদেশে ৩০ লাখেরও বেশি ডায়াবেটিস রোগী আছেন, যা ২০৩০ সালে পৌঁছাবে ১ কোটিতে। রেটিনোপ্যাথিক রোগে দৃষ্টিশক্তি হারাবে লক্ষাধিক মানুষ।

বক্তারা বলেন, আগামী ২৩ অক্টোবর বিশ্ব দৃষ্টি দিবস। হেলেন কেলার ফাউন্ডেশন মানুষের দৃষ্টিশক্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করছে। দৃষ্টিশক্তি হারানোর অন্যতম কারণ হিসেবে আমরা ডায়াবেটিকস রেটিনোপ্যাথিককে চিহ্নিত করেছি। এই রোগটি মূলত ডায়াবেটিস রোগ থেকে হয় এবং চোখের রেটিনার রক্ত কণিকা নষ্ট করে ফেলে। বাংলাদেশের ডায়াবেটিক রোগীদের শতকরা ৫০ ভাগ রোগীদের মধ্যে এই রোগটি লক্ষ্য করা গেছে। যদি ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায় তবে এই রোগটিও প্রতিরোধ করা যাবে।

বিশ্বে প্রতিবছর ২০-৭৪ পর্যন্ত বছর বয়সী মানুষের শতকরা ৪.৮ ভাগ মানুষ এই রোগে অন্ধ হয়ে যায় উল্লেখ করে বক্তারা আরো বলেন, এই রোগটি প্রতিরোধ না করা গেলে বাংলাদেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। তাই আমরা চাই এই রোগ সম্পর্কে সবাই যেন সচেতন হয়। এজন্য আমরা ডায়‍াবেটিস সমিতির সাথে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা যদি সফলভাবে কাজ করতে পারি তাহলে জনসচেতনতা বাড়বে এবং বাংলাদেশ একটি বিশাল স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে মুক্তি পাবে।

সংগঠনের কান্ট্রি ডিরেক্টর এরিকা রয় খেট্রেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্স এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. লিয়াকত আলী, দি ফ্রেড হলোউস ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর জারা খায়ের, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব অফথালমোলোজির রেটিনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সাইফুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৩
এনএম/এফআইএস/আরআই/জিসিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।