ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

২০১৫ সালে যক্ষ্মায় মৃত্যুর সংখ্যা অর্ধেকে নামবে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৩
২০১৫ সালে যক্ষ্মায় মৃত্যুর সংখ্যা অর্ধেকে নামবে

ঢাকা: ২০১৫ সালের মধ্যে দেশে যক্ষ্মায় মৃত্যুর সংখ্যা অর্ধেকে (৯০-এর তুলনায়) নেমে আসবে। আর এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।

 
 
বুধবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক এক কর্মসূচিতে চিকিৎসা সেবার সঙ্গে জড়িতরা এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এতে বিভিন্ন গণমাধ্যমের স্বাস্থ্য বিষয়ক রিপোর্টিংয়ে যুক্ত প্রায় ৩০ জন সাংবাদিক অংশ নেন।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএইচআরএফ) ও বিশ্বের বৃহত্তম বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ব্র্যাকের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা কর্মসূচির সহযোগী পরিচালক মো. আকরামুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্যানেল এক্সপার্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ডেপুটি ডিরেক্টর ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. নুরুজ্জামান হক।

 অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএইচআরএফ) সাধারণ সম্পাদক বদরুদ্দোজা সুমন। অনুষ্ঠান শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএইচআরএফ) সভাপতি তৌফিক মারুফ।  
 
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কনসালটেন্ট ডা. মো. মজিবুর রহমান।

ব্র্যাকের স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি কর্মসূচির সহযোগী পরিচালক ড. মো. আকরামুল ইসলাম বলেন, যক্ষ্মার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে গেলেও এ নিয়ে নগরে, বাস টার্মিনাল ও রেলওয়েসহ বিভিন্ন স্টেশনে কাজ করা খুব চ্যালেঞ্জিং।

জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির প্রোগ্রাম কনস্যালটেন্ট মজিবুর রহমান বলেন, যক্ষ্মার ক্ষেত্রে এখনো মূল সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে শিশু যক্ষ্মা শনাক্তকরণ। কারণ ১০-১২ বছরের নীচে শিশুর বয়স হলে শিশুরা পরীক্ষা করার জন্য কফ দিতে পারে না। ফলে পাকস্থলির রস, এক্সরে পরীক্ষা করে তা শনাক্ত করতে হয়। এতে প্রকৃত রোগী অনেক ক্ষেত্রে ধরা পড়ে না।     

মূল প্রবন্ধে বলা হয়, বিশ্বের মোট যক্ষ্মারোগীর ৪০ শতাংশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাস করে। বাংলাদেশে বছরে ৩ লাখেরও বেশি লোক নতুনভাবে যক্ষ্মারোগে আক্রান্ত হয়। ৬ লাখের বেশি লোক যক্ষ্মারোগে ভুগছে। প্রতিবছর এ রোগে মৃত্যু হয় ৬৭ হাজার ৫০০ জনের। বিশ্বের যে ২২টি দেশের মধ্যে যক্ষ্মা রোগীর সংখ্যা সর্বাধিক, বাংলাদেশ তার মধ্যে ৬ষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৩
আইএইচ/এএ/এমজেডআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।