আমরা প্রায়শই মিডিয়াতে অমুক নায়িকা, তমুক মডেলের ‘জিরো ফিগার’ এর কথা পড়ে থাকি। হালের কিছু বলিউডি নায়িকার জিরো ফিগার নিয়ে মাতামাতিও লক্ষ্য করি।
জিরো ফিগার বা সাইজ জিরো আসলে মেয়েদের কাপড়ের সাইজ। এই সাইজ জিরো আবার নির্ভর করে কাপড়ের ব্র্যান্ড ও স্টাইলের উপর। এমনকি আমেরিকা ও ব্রিটেনে সাইজ জিরোর মাপ ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।
সাধারণত নারীর ফিগারের মাপ অর্থ্যাত বুক-পেট-হিপ এর মাপ ৩০-২২-৩২ ইঞ্চি (৭৬-৫৬-৮১ সেমি) থেকে ৩৩-২৫-৩৫ ইঞ্চি (৮৪-৬৪-৮৯ সেমি) হলে তাকে সাইজ জিরো ফিগার বলা হয়ে থাকে।
সাইজ জিরোর কনসেপ্ট যে পাশ্চাত্যে উত্পত্তি হয়েছিল, বর্তমানে সেই পাশ্চাত্যেই তা মারাত্মকভাবে সমালোচিত হচ্ছে। সাইজ জিরো ফিগার বানাতে গিয়ে অধিকাংশ নারী ইটিং ডিজ-অর্ডারে ভুগে থাকেন। খাব না খাব না করে, পাশ্চাত্যের অনেক মডেল-নায়িকা দুনিয়া থেকে একেবারে উবে যাওয়ার ঘটনাও আমরা প্রায়ই শুনে থাকি।
সাইজ জিরোকে নিরুত্সাহিত করতে আরমানি, ভিক্টোরিয়া বেকহ্যামের মত নামকরা ফ্যাশন হাউজগুলো সাইজ জিরোর নামে হাড্ডি-চামড়া সর্বস্ব মডেলদের দিয়ে কাজ না করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অনেক দেশেই আন্ডার-ওয়েট মডেলদের ব্যানড করা হয়েছে।
কাজেই সাইজ জিরো হবার ভয়ংকর পথে না গিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে, নিয়মিত শরীর চর্চায় সুস্থতাই সবার কাম্য হওয়া উচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৩