ঢাকা: হার্টঅ্যাটাক ও স্ট্রোক প্রতিরোধে অ্যাসপিরিন একটি সুপরিচিত নাম। তবে শুধু হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগই নয় অ্যাসপিরিনের স্বল্পমাত্রার ব্যবহার অনেক ক্ষেত্রে ডিমেনসিয়া (স্মৃতিভ্রষ্টতা) এবং ক্যানসারের মত রোগের ঝুঁকি থেকেও মানুষকে রক্ষা করে।
প্রাত্যহিত জীবনে বহুল ব্যবহৃত হয় এমন ওষুধের ওপর পরিচালিত গবেষণায় বিষয়টি উদঘাটন করে বিজ্ঞানীরা।
এমনিতেই অ্যাসপিরিন পরিচিত এর হৃদরোগ প্রতিরোধী ভূমিকার জন্য। হৃদরোগের সাথে লড়াই করছেন অথবা স্ট্রোকের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বিশ্বজুড়ে এমন লাখ লাখ লোক নিয়মিত অ্যাসপিরিন সেবন করে আসছেন।
অ্যাসপিরিন রক্ত পাতলা করে পাশাপাশি রক্ত জমাট বাধা (ক্লটিং)প্রতিহত করতে সহায়তা করে। হৃদরোগ কিংবা স্ট্রোকের ঝুঁকি ২৩ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস করতে পারে অ্যাসপিরিন।
তবে গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত অ্যাসপিরিন সেবনকারীদের মধ্যে আলঝেইমার রোগের ঝুঁকি অনেক কম। আলঝেইমার ডিমেনসিয়ার একটি অন্যতম রূপ।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, অ্যাসপিরিনের অ্যান্টি ক্লটিং ভূমিকা মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে, ফলে এটি ডিমেনসিয়ার ঝুঁকি কমায়। পাশাপাশি ক্যানসার বিশেষ করে গ্যাস্ট্রো ইনটেস্টিনাল ক্যানসারের বিরুদ্ধেও অ্যাসপিরিন সমানভাবে কার্যকর।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৩