ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

আমি গরীবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৪
আমি গরীবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম দরিদ্র-দুঃস্থ রোগীদের দিক বিবেচনা করে স্বাস্থ্য সেবার সার্বিক চার্জ যৌক্তিক ও সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর মালিকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমি গরীব-দুঃস্থদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, ধনীদের নয়।

গরীবের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।  

স্বাস্থ্যমন্ত্রী রোববার রূপসী বাংলা হোটেলের উইন্টার গার্ডেনে ‘ডিজাস্টার হেলথ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইমারজেন্সি রেসপন্ড ফ্রেমওয়ার্ক’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে প্রয়োজনীয় খরচের তুলনায় অনেক গুণ চার্জ নেওয়া হয়। এটা চলতে পারে না। বেসরকারি হাসপাতালের ক্লিনিকের মালিকরা যদি যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ না করে তাহলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
 
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. খন্দকার মো. সিফায়েত উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, স্বাস্থ্যসচিব এমএম নিয়াজউদ্দিন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. থুসারা ফার্নান্দো প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে দুর্যোগকালীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার চিত্র তুলে ধরা হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ বন্ধ করতে হবে। ডাক্তাররা যাতে গ্রামে থেকে সেবা প্রদান করে সে জন্য নজরদারি বাড়াতে হবে। গ্রামে থাকতে ডাক্তারদের কেন অনিহা? এ অনিহা বন্ধ করতে হবে।

দুর্যোগ ব্যবস্থা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেন, সারাদেশে ৬২ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে দুর্যোগকালীন কর্মকান্ড বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। ইতোমধ্যে ২৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। যাতে দুর্যোগকালীন সময়ে এসব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।

ত্রাণ কেন্দ্রীক ব্যবস্থার চাইতে বর্তমান সরকার দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। সেইভাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বহু মাতৃকতা উপলদ্ধি করে সব সেক্টরগুলোকে সমস্টিগতভাবে কাজ করার জন্য তিনি আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম প্রকাশিত ‘হাসপাতালে অবকাঠামোগত বিপদাপন্নতা নিরূপণ সহায়িকা’ এবং ‘শহরাঞ্চলে ভূমিকম্প পরবর্তী স্বাস্থ্যসেবা কর্মপরিকল্পনা’র মোড়ক উন্মোচন করেন।


বাংলাদেশ সময় ১৮৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।