ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

হৃদস্পন্দন বন্ধ হবে না কোনোদিন

স্বাস্থ্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩০ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০১৪
হৃদস্পন্দন বন্ধ হবে না কোনোদিন

ঢাকা: হৃদস্পন্দন বন্ধ তো, আপনি মৃত। তবে হৃদপিণ্ডের এ থেমে যাওয়ার দিন শেষ হয়ে এসেছে।

বিজ্ঞানীরা এমন এক ধরনের বৈদ্যুতিক ঝিল্লি (electric membrane) তৈরি করেছেন, যা হৃদপিণ্ডের বাইরের অংশের উপরে যুতসইভাবে লাগানো থাকবে।

এ ইলেক্ট্রিক ঝিল্লিই আপনার হৃদস্পন্দন চালু রাখবে অনন্তকাল। একই সঙ্গে অবসান ঘটাবে হৃদপিণ্ডে পেসমেকার ব্যবহারের।

এই যন্ত্রটিতে দুটি অংশ রয়েছে- মাকড়সার জালের মতো বিস্তৃত সংবেদনশীল জাল (network of sensors) এবং বিদ্যুৎ পরিবাহক। এরা সবসময় হৃদপিণ্ডের বৈদ্যুতিক সক্রিয়তা (electrical activity) পর্যবেক্ষণ করবে। বৈদ্যুতিক শকের মাধ্যমে হার্টের স্পন্দন চালু রাখবে।  
 
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়েস ইউনিভার্সিটি ও ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক ‘কম্পিউটার মডেলিং টেকনোলজি’ এবং থ্রিডি প্রিন্টার ব্যবহার করে এক ধরনের ঝিল্লি তৈরি করেন। এ ঝিল্লি খরগোশের হার্টে লাগিয়ে নিখুঁতভাবে কাজ করতে দেখা গেছে।

এক্ষত্রে উচ্চ রেজুলেশনের থ্রিডি ইমেজিং টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে। এ টেকনোলজি ব্যবহার করে যে ঝিল্লি তৈরি করা হবে তা সম্প্রসারণশীল এবং খুবই সুন্দরভাবে হার্টের সঙ্গে লেগে থাকবে।

ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির বায়ো-মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ার ইগর এফিমভ বলেন, যখন হার্ট-অ্যাটাক অথবা অন্য কোনো বিপজ্জনক ঘটনা ঘটবে, তখন এ ডিভাইসটি নিজের থেকেই উচ্চ মাত্রার চিকিৎসা দেবে।  

এ ঝিল্লির বিভিন্ন অংশ থেকে সহনীয় মাত্রার বৈদ্যুতিক উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়, যা হার্টের সমস্যাসহ হার্টের হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া রোধ করবে।
  
যন্ত্রটি উদ্ভাবনে সম্প্রসারণক্ষম ইলেক্ট্রনিক্সের ব্যবহার হয়েছে। এর উন্নয়নসাধন করেন- ইলিনয়েস ইউনিভার্সিটির পদার্থ বিজ্ঞানী জন রজার্স।

রাজার্সের উদ্ভাবিত এ ডিভাইসে সিলিকনের মতো কঠিন পদার্থও ব্যবহার করা হয়েছে। তবে সার্কিটগুলো বসানো হয়েছে বাঁকা করে ‍S আকৃতিতে যাতে খুব সহজেই সম্প্রসারণ করা যায় এবং ভেঙে না যায়।
 
হৃদপিণ্ডের প্রাকৃতিক ঝিল্লি পেরিকার্ডিয়ামের সঙ্গে এর তুলনা করে রজার্স বলেন, মানুষের তৈরি এ কৃত্রিম পেরিকার্ডিয়াম অনেক উচ্চমানের, এটি সাধারণ হৃদপিণ্ডের ঝিল্লির মতোই উদ্দীপ্ত হয়ে হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করবে। হৃদপিণ্ডের সমস্যা পর্যবেক্ষণ করবে এবং হার্ট-অ্যাটাক থেকে মুক্ত রাখবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৩২৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।