ঢাকা: এ বছরই প্রথমবারের মতো দেশের ৬৪টি জেলায় বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এমপি।
আগামী শনিবার ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবারই প্রথম দেশের ৬৪ জেলায় একযোগে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উদযাপন করা হবে।
ওই দিন শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি এবং সকাল ১০টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
তামাকের ক্ষতিকর দিকের পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সম্পর্কে ব্যাপক সচেতনতা বাড়াতে ৩১ মে থেকে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে মাসব্যাপী সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপনচিত্র প্রদর্শিত হবে।
এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘তামাকের ওপর কর বাড়াও, রোগ মৃত্যুর হার কমাও’।
তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য যেমন বিড়ি, সিগারেট, গুল, জর্দা প্রভৃতি জনস্বাস্থ্য, অর্থনীতি ও পরিবেশের ওপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, বিশ্বে প্রতি ৬ সেকেন্ডে এক জন মানুষ তামাক ব্যবহারের কারণে মৃত্যুবরণ করছেন।
মন্ত্রী বলেন, ঘাতক তামাকের নেশা থেকে দেশকে বাঁচাতে আইন সংশোধন করা হয়েছে। তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে আনতে বাংলাদেশ ২০০৩ সালে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা গৃহীত ‘ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি)’ স্বাক্ষর করে।
ওই চুক্তির আলোকে ২০০৫ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাস করা হয়। আইনের ধারাগুলোকে এফসিটিসি-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে ২০১৩ সালে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে। এ আইনটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে সর্বমহলে বিবেচিত হয়েছে।
সংশোধিত আইনে ধোঁয়াবিহীন তামাক, জর্দ্দা, গুল, সাদাপাতা ইত্যাদিকে তামাকজাত দ্রব্য হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। তামাকজাত পণ্যের প্যাকেটে ছবিযুক্ত স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলেও জানান নাসিম।
দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালনের জন্য তিন জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বিশ্ব তামাকমুক্ত সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যসচিব এম এম নিয়াজ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৪