ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: নিয়োগ কেলেঙ্কারির অভিযোগে ওএসডি হওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদ্য সাবেক সিভিল সার্জন নারায়ণ চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।

রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডা. নজরুল ইসলাম ও হিসাবরক্ষক মো. আলমগীর কবির খান সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে এসে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন।



ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার পৈরতলা এলাকার আবুল কালামের ছেলে জনৈক আব্দুস সালামের দাখিল করা লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তারা সাবেক এ সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে তদন্তে নামেন।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রথম দিন অভিযুক্ত সদ্য সাবেক সিভিল সার্জন নারায়ণ চন্দ্র দাস ও অভিযোগকারী আব্দুস সালামকে কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ পাঠিয়েছিলাম।

কিন্তু তাদের দুজনের কেউই হাজির হননি। পরে আমরা এ বিষয়ে জানতে জেলা সদর হাসপাতাল ছাড়াও সাতটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছি।

আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. শাহআলম বাংলানিউজকে জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত দল আমাদের কাছে সিভিল সার্জনের নিয়োগ দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। আমরা পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশনের মাধ্যমে এ বিষয়ে যতদূর জানতে পেরেছি তা তাদের বলেছি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মো. শওকত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, জেলার সবকটি উপজেলার স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের ১১ পদে ১৭২ জনকে নিয়োগে অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্যে সদ্য সাবেক সিভিল সার্জনের জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করতে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা কাজ করছেন। তারা সোমবার পর্যন্ত তদন্ত করবেন।

গত ৩০ জুলাই ১২ জন চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে ৩৬ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ এনে সিভিল সার্জন নারায়ণ চন্দ্র দাসসহ চার জনের বিরুদ্ধে কসবা থানায় মামলা দেওয়া হয়। এছাড়া সদর ও কসবা থানায় একই অভিযোগে আরো কয়েকটি মামলা দায়ের হয়।

এ নিয়ে কসবা উপজেলা সদরে সিভিল সার্জনের বিরুদ্ধে সভা-সমাবেশ ও মানবন্ধন করে তার কুশপুতুল দাহ করা হয়। এরপর ৩ আগস্ট স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব একেএম মোখলেছুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বার্তায় তাকে ওএসডির নির্দেশ দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।