ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ইবোলা ভাইরাস: আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৪
ইবোলা ভাইরাস: আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ইবোলা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

সোমবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’র (বিএসএমএমইউ) ‘বি’ ব্লকের নীচতলায় শহীদ ডা. মিলন হলে মাসিক সেমিনার সাব-কমিটির উদ্যোগে ‘ইবোলা ভাইরাস আতঙ্ক: আমরা কতটা প্রস্তুত’ বিষয়ক এক বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।



সেমিনারে ইবোলা ভাইরাস ইনফেকশনের রোগ নির্ণয়ের প্রয়োজনীয়তা ও উপায়সমূহ আলোচিত হয় এবং ইবোলা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

সেমিনারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, আমরা সচেতন আছি এবং যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। রোগটি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন বিএসএমএমইউ’র উপ-উপাচার্য  অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন মিয়া, ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শাহিনা তাবাসুম।

মাসিক সেমিনার সাব-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. চৌধুরী ইয়াকুব জামালের পরিচালনায় সেমিনারে বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসএমএমইউ’র ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. জিলন মিয়া সরকার, মাইক্রোবায়োলজি ও ইমিউনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. চন্দন রায়, ভাইরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী, আইইডিসিআর’র মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এম মুশতাক হোসেন প্রমুখ।
BSMMU_Harun_
স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. মো. আনোয়ারুল করিম।

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, বিএমডিসি’র সভাপতি অধ্যাপক আবু সফি আহমেদ আমিন, বিএসএমএমইউ’র নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শাহানা আখতার রহমান প্রমুখ।

রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এম মুশতাক হোসেন জানান, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও বক্ষব্যধি হাসপাতাল প্রস্তুত আছে। এ ছাড়াও উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত প্রতিটি হাসপাতালে আলাদা ওয়ার্ড রাখা হয়েছে। কারও শরীরে ইবোলা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা যাওয়া মাত্রই আইইডিসিআরকে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
 
সেমিনারো জানানো হয়, ইবোলা ভাইরাস রোগী থেকে ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য মানুষের মধ্যে খুব সহজেই বিস্তার লাভ করে। তাই নমুনা সংগ্রহ ও ল্যাবরেটরি পরীক্ষার সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। ইবোলা সন্দেহের কোনো রোগীর রক্তের যে কোনো পরীক্ষার জন্য রাজধানীর মহাখালীর রোগতত্ত্ব  নিরাময় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করে তাদের সহযোগিতা নিতে হবে।

যদিও ইবোলা আক্রান্ত কোনো রোগী বাংলাদেশে শনাক্ত হয়নি, কিন্তু যদি শনাক্ত হয় তাহলে তা নিয়ে অহেতুক যেন কোনো ভীতি ছড়িয়ে না পড়ে সে সম্পর্কে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।

** প্রাণঘাতী ইবোলা সম্পর্কে জেনে নিন


বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।