প্রতিদিনই খাদ্য, পানীয় ও দূষণ নানা উপায়ে আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে টক্সিন। এটি শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক।
নিজেরাই কি নিচ্ছি টক্সিন?
আমরা কি জানি যে আমাদের গ্রহণ করা খাবারের মধ্যে দিয়েই আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে এই ভয়াবহ উপাদানটি। আমরা হয়তো জানি না আমাদের পছন্দের খাবারগুলোর মধ্যেই লুকিয়ে আছে টক্সিক উপাদান।
কফি
কফিতে রয়েছে ক্যাফেইন। অতিরিক্ত ক্যাফেইন নেয়ার ফলে এড্রিনাল গ্রন্থির কার্যক্ষমতা কমে যায়। ফলে মানুষ দুর্বল হয়ে পড়ে।
হোয়াইট ব্রেড
সকালের নাস্তায় হোয়াইট ব্রেড থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এর মধ্যেও রয়েছে টক্সিক উপাদান যা মাথাব্যথা, বদহজম, মুটিয়ে যাওয়া, বিষণ্নতাসহ ত্বকের অনেক ক্ষতি করে।
সফট ড্রিংকস
যেকোনো ধরনের সফট ড্রিংকসেই টক্সিন থাকে। যা মাড়ি ও দাঁতের ক্ষতি করে।
স্ন্যাকস
ভাজাপোড়া খাবারে প্রচুর টক্সিন থাকে। যা গ্যাস্ট্রিকসহ, পেটেব্যথা ও ত্বকের ক্ষতি করে।
থাকুন টক্সিনমুক্ত
অতিরিক্ত রান্না করা খাবার এড়িয়ে চলুন খাবার বেশি সেদ্ধ হয়ে গেলে বা বেশি ভাজলে তার খাদ্যগুণ নষ্ট হয়ে যায়। আর বেশি ভাজা খাবারে টক্সিন থাকে। এসব খাবার শরীরে প্রবেশ করলে বিপাক প্রক্রিয়া অলস হয়ে বদহজম হতে পারে।
আঙুর খান
আঙুরে আছে প্রচুর ফাইবার যা টক্সিন দূর করে। দিনে প্রচুর পানি পান করলেও টক্সিনমুক্ত থাকা যায়।
নিমপাতা ও চিরতা
নিমপাতা ও চিরতার রস খেলে টক্সিন দূর হয়। অন্য সংক্রামক রোগ থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।
চিনিকে না বলুন
চিনি হজমে সমস্যা তৈরি করে ও রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এক্ষেত্রে কৃত্তিম সুইটনারও ক্ষতিকারক।
যোগব্যায়াম
যোগব্যায়াম করুন। প্রতিদিন শরীর থেকে কিছুটা ঘাম ঝরান। এতে শরীরের পেশির সংকোচন ও প্রসারণের ফলে ঘামের মধ্য দিয়ে টক্সিন বেরিয়ে যাবে।
কাঁচা হলুদ
কাঁচা হলুদ খেতে পারেন। কাঁচা হলুদ খুব সহজেই শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে পারে।
গভীরভাবে শ্বাস নিন
দৈনিক নিয়ম করে ৮ থেকে ১০ মিনিট গভীরভাবে শ্বাস নিন ও আস্তে আস্তে শ্বাস ছাড়ুন।
ত্রিফলা
আমলকি, হরিতকি ও বহেরা সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে সে পানি পান করুন।
পানি লেবু ও ভিনেগার
সকালের নাস্তার আগে একগ্লাস পানিতে অর্ধেক লেবু ও আধ চা চামচ ভিনেগার মিশিয়ে খান। শরীর থেকে টক্সিন দূর হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৫