ঢাকা: বাড়তি ওজনের কারণে হতে পারে নানারকম রোগ-বালাই। ওজন বাড়া বা শরীর মুটিয়ে যাওয়ার ফলে হতে পারে কোমর ব্যথা, হাঁটুতে ব্যথাসহ বিভিন্ন রোগ।
সুস্বাস্থ্য ও মুটিয়ে যাওয়া এক নয়। মোটা হলেই যে তাকে স্বাস্থ্যবান বলা যায় তা নয়, বরং শরীরের দৈর্ঘ্য ও বয়স অনুযায়ী সঠিক ওজন ধরে রাখাকেই বলা যায় সুস্বাস্থের অধিকারী।
শরীরের সঠিক ওজন ধরে রাখার জন্য যেসব খাদ্যের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখা দরকার সেগুলো নিয়েই আজকের আয়োজন। এসব খাবার শুধু ওজন কমায় না, শরীরের নানান সমস্যারও সমাধান করে। তবে চলুন জেনে নেই-
লেটুসপাতা
এক পাউন্ড লেটুস পাতায় রয়েছে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কিলোক্যালরি। এছাড়াও লেটুসপাতা ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন এ, বি-৬, সি ও ফলিক এসিডের ভালো উৎস। এগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
মূলা
ওজন কমাতে কাচা মূলার সালাদ খেতে পারেন। এতে রযেছে প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিড, পটাশিয়াম ও এন্টি-অক্সিডেন্ট। মূলায় রয়েছে আরও গন্ধক উপাদান যা হজমে ব্যাপক সহায়তা করে। মূলার কাণ্ড ও পাতাও খুব উপকারী। মূলাশাকে রয়েছে ক্যালশিয়াম ও ভিটামিন সি।
পালং শাক
পালং শাক বিভিন্নভাবে খেতে পারেন। সালাদ, জুস ও তরকারিতে। এতে রয়েছে ক্যালশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন এ, বি-৬, সি ও কে।
আঙুর
আঙুর ওজন কমাতে খুব ভালো কাজ করে। এতে রয়েছে উচ্চমানের ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ফলিক এসিড ও ফাইবার। এটি হৃদপিণ্ডের জন্য খুব ভালো।
ফুলকপি
আধাসেদ্ধ ফুলকপি বা ফুলকপির স্যুপ ফলিয়েট, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন সি এর ভালো উৎস।
বাঁধাকপি
বাঁধাকপি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ওজন কমাতে সালাদ বা ক্যাসলো বিভিন্ন উপায়ে বাঁধাকপি খেতে পারেন।
ব্রোকোলি
দ্রুত ওজন কমাতে চাইলে খেতে পারেন ব্রোকোলি। এতে রয়েছে শরীরের উপযোগী ক্যালশিয়াম ও ফাইবার।
মটরশুটি
মজার এই খাবারটি শরীরে প্রোটিন ও ফাইবারের চাহিদা পূরণ করে একই সঙ্গে ওজনও কমায়। মটরশুটি ধীরগতিতে হজম হয় বলে ক্ষুধা কম লাগে।
বাদাম
চিনাবাদাম, পিক্যান, আম- ও আখরোট ওজন কমাতে সাহায্য করে।
আপেল
আপেল বা আপেলের জুস নিয়মিত খেলে ওজন খুব দ্রুত কমে। এতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার। একটি আপেলে রয়েছে একগ্লাস দুধের সমান প্রোটিন।
ইয়োগার্ট
সালাদে ইয়োগার্ট বা দই খেতে পারেন। এটি ওজন কমানোর সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে এনে দেবে কোমলতা।
ডার্ক চকলেট
চকলেটপ্রেমীদের জন্য সুখবর। ডায়েটিংয়ের কড়া লিস্টে তুলে নিতে পারেন ডার্ক চকলেট। খেতে দারুণ ডার্ক চকলেটে রয়েছে এন্টি-অক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ করে। সকাল আর দুপুরের মাঝামাঝি সময়ে ডার্ক চকলেট খেতে পারেন। এতে শরীর পাবে তার সারাদিনের শক্তি।
বাংলাদেশ সময়: ০৬২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৫