ঢাকা: রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের ডাক্তারদের চিকিৎসায় অবহেলার কারণে তানিয়া সুলতানা নামে এক তথ্য কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার স্বামী কাজী আহসান হাবিব।
তানিয়া তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে তথ্য অধিদফতরের একজন সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা।
রোববার (১৫ মার্চ) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে তানিয়ার মৃত্যুর জন্য তার স্বামী স্কয়ার হাসপাতালের গাইনোকোলজিস্ট ডা. নাসিমা শাহীন ও কার্ডিওলজিস্ট ডা. খালেদ মহসিনকে দায়ী করেন।
লিখিত বক্তব্যে কাজী আহসান হাবিব বলেন, তানিয়া ডা. নাসিমা শাহীনের অধীনে গত প্রায় নয়মাস গর্ভাবস্থাজনিত কারণে রেগুলার ফলোআপে ছিলেন। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ডা. নাসিমা শাহীনের পরামর্শে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসার একপর্যায়ে তানিয়া সুস্থ রয়েছেন জানিয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি তাকে রিলিজ করা হবে বলে তিনি আমাদের জানান। কিন্তু ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে আইসিইউতে কার্ডিওলজিস্ট ডা. খালেদ মহসিনের অধীনে স্থানান্তর করা হয়।
১৭ ফেব্রুয়ারি রোগী সুস্থ রয়েছেন জানিয়ে তাকে আইসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়া হয়। তখন আমরা ডা. খালেদ ও নাসিমাকে প্রয়োজনে রোগীকে আইসিইউতে রাখার অনুরোধ জানাই। কিন্তু দুইজনই রোগীকে আইসিইউতে রাখার দরকার নেই বলে জানান।
১৯ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৪টার দিকে রোগীর প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হলে তাকে সিসিইউতে নিয়ে যায়। পরে আমাদের জানানো হয়, রোগী মারা গেছেন।
এ বিষয়ে তানিয়ার স্বামী বলেন, রোগীর মেডিকেল কাগজগুলো কয়েকজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও যুক্তরাষ্ট্রের রেজিস্টার ইন্টারনাল মেডিসিন ডক্টর সাইদা বিলকিসকে দেখালে তারা সঙ্কাটাপন্ন রোগীকে আইসিইউ থেকে সরাসরি কেবিনে নেওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৫