ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

রোগীকে দেখতে না দেওয়ায় ইউনাইটেড হাসপাতালে ভাঙচুর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৫
রোগীকে দেখতে না দেওয়ায় ইউনাইটেড হাসপাতালে ভাঙচুর ছবি: মাহমুদ পিয়াস- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে: রাজধানীর গুলশানে ইউনাইটেড হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) দীর্ঘদিন যাবৎ চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তিকে দেখতে না দেওয়ায় হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে রোগীর স্বজনরা।

বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।



ঘটনার সময় উপস্থিত কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বাংলানিউজকে জানান, ‘রোগী মারা গেলেও, বিল বাড়ানোর জন্য তাকে সিসিইউতে রাখা হয়েছে’-এমন গুজব চাওর হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ক’জন স্বজন তাকে দেখতে যান। নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। ঘটনার ১৫ মিনিট পর হাসপাতালের নিচে ভাঙচুর চালানো হয়।

এসময় ১০-১৫ জনের একটি দল হাসপাতালের বাইরের ও ভেতরের গ্লাস, ফ্রন্ট ডেস্ক, কম্পিউটার, হুইল চেয়ার এবং হাসপাতালের বিভিন্ন আসবাব ভেঙে ফেলেন।

জানা গেছে, আব্দুল হাই হাওলাদার গত ১৫ নভেম্বর অসুস্থ হয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
 
রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কয়েকদিন ধরে রোগীকে দেখতেও দিচ্ছে না, আবার রোগীর সর্বশেষ তথ্যও দিচ্ছে না।

রোগীর একজন স্বজন জানান, আব্দুল হাই বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন- গত ১৫-১৬ দিন ধরে সে তথ্যও জানায়নি কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জাহাঙ্গীর আলম এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে রোগীর এক স্বজন জানান, রোগীর সর্বশেষ অবস্থার খোঁজ না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার রোগীর কয়েকজন স্বজন সিসিইউতে দেখতে যেতে চাইলে নিরাপত্তাকর্মীরা বাধা দেন। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়।

রোগীর ওই স্বজন বলেন, ‘যেহেতু আমাদের দেখতে দিচ্ছে না তাই মনে হয়েছে রোগী হয়তো মারা গেছে, বিল বাড়ানোর জন্য দেরিতে খবর দিচ্ছে-মনে এমন সন্দেহ হওয়ায় রোগীকে দেখতে চেয়েছি। দেখতে না দেওয়ায় সন্দেহ আরও বেড়েছে। এ কারণে এমন পরিস্থিতি হয়েছে। ’

হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, আব্দুল হাই বর্তমানে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন।

এদিকে ঘটনার আধা ঘণ্টা পরেই হাসপাতালে আসেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, উভয় পক্ষের ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে ভাঙচুরের বিষয়টি অপ্রত্যাশিত।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমেদ ঘটনাস্থলে এসে সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। পুরো ঘটনাটি আমরা তদন্ত করে দেখছি।

এদিকে রাত ১টায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন, ইউনাইটেড হাসপাতালের চিফ ক্লিনিকাল সার্ভিসেস ডা. মাহবুব উদ্দিন আহমেদ। তিনি সাংবাদিকদের ভাঙচুরের চিত্র দেখিয়ে বলেন, কি তাণ্ডব চালানো হয়েছে সবতো আপনারা এসে দেখতে পাচ্ছেন। ভুল বোঝাবুঝি থেকে এত বড় ঘটনা অপ্রত্যাশিত।

পুলিশের উপস্থিতিতে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভাঙচুর চালানো হয়েছে, অভিযোগ করেন তিনি।

** ‘পুলিশের সামনে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভাঙচুর হয়েছে’

বাংলাদেশ সময়: ০০৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৫ আপডেট সময়: ০৪৪৭ ঘণ্টা.
এডিএ/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।