ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

শিশুর জন্য অপরিহার্য ৯ পুষ্টি (পর্ব-১)

স্বাস্থ্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৬
শিশুর জন্য অপরিহার্য ৯ পুষ্টি (পর্ব-১) ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ভূমিকা রাখে প্রয়োজনীয় পুষ্টি। অপুষ্টিজনিত কারণে শিশু আক্রান্ত হতে পারে বিভিন্ন দৈহিক ও মানসিক রোগে।



এক একটি পুষ্টি উপাদানের কার্যক্ষমতা একেক রকম। তবে দেহের বিকাশে এগুলোর প্রতিটিই সমান গুরুত্বপূর্ণ। রান্নাঘরের দৈনন্দিন সহজলভ্য কিছু উপাদান থেকেই এসব পুষ্টি পাওয়া সম্ভব।



ভিটামিন এ
ত্বক ও চোখের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বিশেষ করে রাতের বেলা ও রঙিন কোনোকিছু দেখার জন্য এ ভিটামিন অত্যন্ত জরুরি। এছাড়াও এটি শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ও সংক্রামক থেকে রক্ষা করে।
 
উৎস: পনির, ফুল ফ্যাট দুধ, মার্জারিন, ফিশ অয়েল। এছাড়া কমলা ও হলুদ ফল ও সবজি যেমন- পেঁপে, গাজর, আম ইত্যাদি ভিটামিন এ এর উৎস।



ভিটামিন বি
থিয়ামিন (বি-১), রিবোফ্লাবিন (বি-২), নিয়াসিন (বি-৩), ফলিক এসিড (ফলেট), প্যান্টোথেনিক এসিড, পাইরিডক্সিন (বি-৬), ভিটামিন বি-১২ ও বায়োটিন শিশুর শরীর গঠনে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এরা খাদ্যকে শক্তিতে রূপান্তর করে। শিশুর বেড়ে ওঠা ও কোষ পুনর্গঠনে সহায়তা করে। ভিটামিন বি-১২ এর অভাবে অ্যানিমিয়া হয়।
 
উৎস: শস্যদানা, মাছ, মুরগি, মাংস, ডিম, সয়া ও দুধজাতীয় খাবার।



ভিটামিন সি
ভিটামিন সি শক্তি উৎপাদনের জন্য খাদ্যের মধ্যে বর্তমান লোহা শুষে নিতে সাহায্য করে। এটি ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় রাখে, বাচ্চাদের ইনফেকশন থেকে সুরক্ষা দেয় ও বাহ্যিক কাটা-ছেঁড়া সহজেই সারিয়ে তোলে।
 
উৎস: সাইট্রাস ফ্রুট যেমন- কমলা, আঙুর, লেবু। বিভিন্ন রকম বেরি যেমন- স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি ও ব্লুবেরি। সবুজ শাক-সবজি, টমেটো, লাল মরিচ, কিউই ইত্যাদি।



ভিটামিন ডি
সুস্থ হাড় ও দাঁতের গঠনে ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম ও ফসফেট নিয়ন্ত্রণ করে। কোষবৃদ্ধি ও প্রদাহ নাশ করে।
 
উৎস: সূর্যের আলো ভিটামিন ডি-এর ভালো উৎস বলে আমরা জানি। কিন্তু অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে বলে শিশুদের সানস্ক্রিন লাগিয়ে রোদে খেলতে পাঠানো উচিত। এছাড়াও তেলজাতীয় মাছ, ডিম, মার্জারিন  ও দইতে ভিটামিন ডি রয়েছে। কিছু কিছু সিরিয়ালেও ভিটামিন ডি থাকে।
 


ক্যালসিয়াম
হাড় ও দাঁতকে শক্তিশালী করে ক্যালসিয়াম। এর অভাবে শিশুদের রিকেট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। জীবনের শুরুতেই ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পরবর্তীতে অস্টিওপরোসিসে রূপান্তরিত হতে পারে। তবে ভিটামিন ডি ব্যাতীত ক্যালসিয়াম পুরোপুরিভাবে কাজে লাগে না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এক বছর বয়সী শিশুর প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫শ ২৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম খেতে পারে। অন্যদিকে ১৮ বছর বয়সী ছেলেমেয়েরা আটশো থেকে এক হাজার মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম খেতে পারে।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৬
এসএমএন/এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।