ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

পঞ্চগড়ে বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৬
পঞ্চগড়ে বেড়েছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

পঞ্চগড়: চারদিনের টানা শৈত প্রবাহের কারণে পঞ্চগড় জেলা শহরসহ পাঁচটি উপজেলায় হঠাৎ করে বেড়ে গেছে ঠাণ্ডাজনিত রোগ। এ রোগে বিশেষ করে শিশু এবং বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে।

 

উত্তরের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় দিনের অধিকাংশ সময়ই দেখা মিলছেনা সূর্যের। বর্তমানে এ জেলার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে অবস্থান করছে।

রোববার (২৪ জানুয়ারি) সকালে জেলার তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ৮ ডিগ্রি ও সর্বোচ্চ ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল।

শীতের কারণে বেশির ভাগ শিশুই ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

রোববার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর পর্যন্ত পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে সরেজমিন দেখা যায়, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসা শিশুদের বেড সংকুলান না হওয়ায় মেঝেতে বিছানা পেতে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ১৯ জানুয়ারি রাতে হঠাৎ বৃষ্টির পরের দিন হালকা রোদসহ সূর্যের দেখা মেলে। এরপর ২১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় শৈতপ্রবাহ। শৈতপ্রবাহের কারণে তীব্র শীতে হাসপাতালে বাড়তে থাকে ডায়রিয়া ও নিউমেনিয়ায় আক্রান্ত শিশু রোগীর সংখ্যা।

গত চারদিনে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৯৫টি শিশু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে ২১ জানুয়ারি ২৩ জন, ২২ জানুয়ারি ২৫ জন, ২৩ জানুয়ারি ২৯ জন এবং ২৪ জানুয়ারি (দুপুর পর্যন্ত) ১৮ জন।

এছাড়াও প্রতিদিন অন্তত দেড় থেকে দুইশ’ শিশু রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন বলে জানিয়েছে হাসপাতল কর্তৃপক্ষ।

জেলার সদর উপজেলার ফুটকিবাড়ি এলাকার উম্মে কুলসুম রুমা বাংলানিউজকে জানান, গত তিনদিন ধরে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত দুই বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে আছেন। স্যালাইন চলছে। তবে স্যালাইন ছাড়া অন্যান্য সব ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর এলাকার সাবিনা আক্তার বাংলানিউকে জানান, দেড় বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে শনিবার  হাসপাতালে এসেছেন। পাতলা পায়খানা এখনও বন্ধ হয়নি।

পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার এসএম মাহবুব উল আলম বাংলানিউজকে জানান, শীতের সময় ঠাণ্ডা আবহাওয়া থেকে শিশুকে দূরে রাখা এবং গরম কাপড় পরানো অত্যন্ত জরুরি। ডায়রিয়া এক ধরনের পানিবাহিত রোগ। রোটা ভাইরাসের কারণে শিশুদের ডায়রিয়া হয়ে থাকে। ৬ থেকে ১৬ মাস বয়সী আক্রান্ত শিশুকে ঘন ঘন খাবার স্যালাইন ও মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো প্রয়োজন।

এছাড়া শিশুদের মায়ের বুকের দুধ ও রোটারিক্স টিকা দিলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। তিনি বলেন, শিশুরা প্রস্রাব করলে দ্রুত পোশাক পরিবর্তন করে দিতে হবে এবং ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুদের মল পরিস্কারের পর মায়েদের অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৬
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।