ঢাকা: ফলে রয়েছে হাই ফাইবার, ভিটামিন, অল্প পরিমাণ চর্বি ও ক্যালরি। এ কারণে ফলকে স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকার অন্তর্গত মনে করা হয়।
ফল ও ওজন
অনেক পুষ্টিগুণ থাকলেও ফলে ক্যালরি রয়েছে। যদি আপনি প্রচুর ক্যালরি নেন ও তা ব্যায়াম বা হাঁটাচলার মাধ্যমে সঠিকভাবে পোড়াতে না পারেন তাহলে ওজন বাড়বেই। যতো স্বাস্থ্যকর উৎস থেকেই আসুক ক্যালরি তো ক্যালরিই। তবে এক্ষেত্রে বলা যেতে পারে, কিছু ফলে ক্যালরি বাড়তি পরিমাণে থাকে, যেমন- একটি মাঝারি সাইজের কলায় থাকে ১০৫ ক্যালরি। অন্যদিকে, বেরি জাতীয় ফলে থাকে খুব কম ক্যালরি। যেমন, এক কাপ স্ট্রবেরিতে পাওয়া যায় মাত্র ৪৬ ক্যালরি।
ফল ও অসুখ
যদিও ফল ও শাকসবজি সমৃদ্ধ ডায়েট অনেক দীর্ঘমেয়াদি অসুখ-বিসুখ হওয়ার ঝুঁকি কমায়। তবে কিছু কিছু অসুখের ভিত্তিতে ফল কতটুকু খাচ্ছেন তার প্রতি খেয়াল রাখা উচিত। যেমন- ডায়াবেটিস ও হাই ব্লাড ট্রাইগ্লিসারাইডস যাদের রয়েছে, তাদের সীমিত পরিমাণ ফল খাওয়া উচিত। কারণ, অতিমাত্রার সুগার এসব ক্ষেত্রে হানিকর। তবে একেবারেই ফল বর্জনের প্রয়োজন নেই।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কম জিআইযুক্ত (গ্লাইসেমিক ইনডেক্স) ফল খাওয়া উচিত। বেশিরভাগই ফলেই জিআই কম থাকে কিন্তু তরমুজ, শুকনো খেজুর, কিশমিশ ও ফুটিতে জিআই অনেক বেশি।
কী পরিমাণে খাবেন
ফলের মধ্যে অধিকাংশই পানি। যেহেতু এতে ক্যালরি রয়েছে সেহেতু একসঙ্গে না খেয়ে দিনে দু’ভাগে ফল খেতে পারেন। সেক্ষেত্রে এক একটি ভাগে রাখতে পারেন একটি আপেল বা কলা, এপ্রিকটের মতো ছোট দু’টি ফল বা একমুঠেরও কম ড্রাই ফ্রুট।
ড্রাই ফ্রুট বিষয়ে একটা কথা জানা প্রয়োজন, এতে ফ্রেশ ফ্রুটের চেয়ে বেশি ক্যালরি থাকে।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৬
এসএমএন/এসএস