ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

খাদ্যে জেনেটিক প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৩ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৬
খাদ্যে জেনেটিক প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে

ঢাকা: জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি ঠেকাতে খাদ্যে জেনেটিক প্রযুক্তি ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে জেনেটিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে কারিগরি কমিটি গঠন করবে সরকার।

কমিটি খাদ্যে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকি আছে কি-না তা চিহ্নিত করে বিজ্ঞানসম্মতভাবে কারিগরি পরামর্শ ও মতামত দেবে সরকারকে।

খাদ্যের নিরাপদ মান নির্ণয়ের জন্য খাদ্য (কারিগরি কমিটি) নিরাপদ বিধিমালার আওতায় এ কমিটি গঠন করা হবে। সম্প্রতি খাদ্য মন্ত্রণালয় খাদ্য (কারিগরি কমিটি) নিরাপদ বিধিমালা-২০১৬ খসড়া প্রস্তুত করেছে।
 
প্রস্তাবিত এ বিধিমালার ভূমিকায় বলা হয়েছে- বাংলাদেশে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। ২০১৩ সালের নিরাপদ খাদ্য আইনের আওতায় গঠিত কারিগরি কমিটি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে মতামত, সুপারিশ ও পরামর্শ দেবে।
 
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আবুল কালাম আজাদ জানান, কারিগরি কমিটি খাদ্যে জৈব ও রাসায়নিক ঝুঁকি নিরূপণ, অনুজীবী নিয়ন্ত্রণের অনুশাসন ও প্রচলিত আইনের প্রতিপালন নিশ্চিত করতে পরিবীক্ষণ মূল্যায়ন ও মতামত প্রদান করবে।
 
প্রস্তাবিত বিধিমালায় বলা হয়, এ কমিটি জৈব ও রাসায়নিক ঝুঁকির হুমকি, খাদ্যে পানিবাহিত রোগ নজরদারি ও খাদ্যদুর্যোগ, নতুন ও সম্ভাব্য ঝুঁকি, খাদ্য ও পুষ্টি নীতিমালা প্রণয়ণ, খাদ্য পরীক্ষাগার নেটওয়ার্ক স্থাপন এবং কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স স্কিম বিষয়ে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কাছে মতামত প্রদান ও সুপারিশ প্রণয়ন করবে। এমনকি খাদ্য মোড়কীকরণের ব্যবস্থাও নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সুপারিশ প্রদান করবে।
 
খাদ্যদ্রব্যে মিশ্রিত পদার্থ, খাদ্যে সংশ্লিষ্ট স্বাদযুক্ত পদার্থ এবং প্রক্রিয়াকরণ সহযোগী ও বস্তু-সামগ্রী, কীটনাশক ও অ্যান্টিবায়োটিকের অবশিষ্টাংশ, জেনেটিক্যালি সংশোধিত জীবাণু ও খাদ্য, খাদ্যে জৈবিক ঝুঁকি নিরূপণ বিষয় নিয়ে কমিটি কাজ করবে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী স্থান-কাল বিবেচনা করে বিজ্ঞানসম্মতভাবে পরামর্শ দেবে কমিটি।

 

খাদ্য দূষণের কারণে জনস্বাস্থ্যের ওপর ঝুঁকি, ভোক্তা সাধারণের ওপর জৈব এবং রাসায়নিক ঝুঁকির হুমকি নিরূপণে খাদ্যে দূষক বা অনুজীবী নিয়ন্ত্রণের অনুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে সহযোগিতা করবে কমিটি। আইন প্রতিপালন, পরিবীক্ষণ ও নজরদারি করে কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পরামর্শও দেবে।
 
পানিবাহিত রোগের বিষয়ে নজরদারি ও খাদ্যদুর্যোগ প্রতিরোধ, খাদ্যে উন্নত ও নিরাপদ জেনেটিক প্রযুক্তি বা অন্য যেকোনো প্রযুক্তি ব্যবহার পরিবীক্ষণ ও নজরদারি করবে কমিটি। খাদ্যমান, খাদ্যে নিরাপদ মান ও মান নির্ণয়ে বিভিন্ন ধরনের প্রযুক্তি প্রয়োগের নজরদারির ব্যবস্থা, খাদ্যে ঝুঁকি নিরূপণ, মূল্যায়ন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা তৈরিসহ করণীয় নির্ধারণে মতামত ও পরামর্শ দেবে।
 
এছাড়া খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নীতিমালা প্রণয়ন, নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রণয়নে মতামত ও পরামর্শ দেবে কমিটি।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৬
এসএমএ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।