ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

নিবন্ধন ছাড়াই মেডিকেল কলেজ!

মাজেদুল নয়ন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৬
নিবন্ধন ছাড়াই মেডিকেল কলেজ!

ঢাকা: নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিবন্ধন ছাড়াই চলছে কয়েকটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ। আর কিছু কলেজ বছর বছর শিক্ষার্থী ভর্তি কোটা বৃদ্ধির জন্যে আবেদন করে যাচ্ছে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল থাকার অত্যাবশ্যকীয় শর্ত না মেনেও।

এসব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর।
 
বেসরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা (২০১১)'য় অবকাঠামোর শর্তানুযায়ী, মেডিকেল কলেজে ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করাতে হলে প্রস্তাবিত ক্যাম্পাসে প্রয়োজনীয় ভৌত অবকাঠামোসহ নূন্যতম ২৫০ শয্যার একটি আধুনিক হাসপাতাল (৭০ শতাংশ বেড অকুপেন্সিসহ) চালু থাকতে হবে। এছাড়াও ১০ শতাংশ বেড গরীবদের বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্যে সংরক্ষণ করতে হবে।
 
কিন্তু নীতিমালার তোয়াক্কা না করেই চলছে বেশ কয়েকটি মেডিকেল কলেজ। এমনকি অনেকেরই নেই কোন নিবন্ধন।
 
গত ৩ সেপ্টেম্বর সিলেটের জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল)। সেখানে হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বেড দেখতে পাননি তিনি। এছাড়াও ইন্টার্ন চিকিৎসক দিয়েই চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম।
 
১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠা হলেও এখন পর্যন্ত নিবন্ধন করেনি মেডিকেল কলেজটি। ২০ বছর ধরেই অবৈধভাবে চলেছে। অবশেষে গত ১৭ আগস্ট প্যাথলজিসহ নিবন্ধনের আবেদন করে প্রতিষ্ঠানটি।
 
২০১২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত অনিবন্ধিত অবস্থাতে চলছে গাজীপুরের চান্দনায় ইটাহাটা টাঙ্গাইল রোডের সিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। কলেজের সঙ্গে সংযুক্ত হাসপাতালটিতে বেড, রোগী এবং চিকিৎসকের স্বল্পতার প্রমাণ পেয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
 
এছাড়াও উত্তরার মেডিকেল কলেজ ফর ওম্যান অ্যান্ড হসপিটালও অনিবন্ধিত অবস্থায় চলছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) বিভাগ। নীতিমালার কোন শর্তই প্রতিষ্ঠানটি মেনে চলেনি।
 
এছাড়াও সম্প্রতি নর্দার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল পরির্দশন করে ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ৪৮ জন রোগী এবং মাত্র ৭ জন চিকিৎসকের দেখা পায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শকরা।
 
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) অধ্যাপক ডা. সামিউল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এসব হাসপাতাল নীতিমালার বাইরে গিয়ে অনুমোদন পেয়েছে। মেডিকেল কলেজের অনুমোদন পেতে হলে হাসপাতালে অবশ্যই ২৫০ বেড থাকতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক থাকতে হবে।
 
তিনি বলেন, এখন আমাদের কাছে তিনটি মেডিকেল কলেজের অনিবন্ধনের তথ্য রয়েছে। এগুলো হচ্ছে জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ, গাজীপুরের সিটি মেডিকেল কলেজ এবং উত্তরার মেডিকেল কলেজ ফর ওম্যান। এখন হয়তো আরো অনেক অনিবন্ধিত কলেজের তালিকা পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৬
এমএন/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।