ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে আসবে

মাজেদুল নয়ন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০১৬
ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে আসবে

ঢাকা: আশ্বিন মাসেই ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে এসেছে। আগামী এক মাসের মধ্যেই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব আরও কমে আসবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ৮ জন প্রাণ দিয়েছেন বলেও জানান তারা।

বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ন্যাশনাল ক্রাইসিস সেন্টার থেকে পাওয়া রিপোর্টে দেখা যায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২৪ ঘণ্টায় ৪৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯ জন এবং ১৬ সেপ্টেম্বর ২৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন।

সেপ্টেম্বরের ২৮ তারিখ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ২৫৩ জন। আগস্ট মাসে রোগীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৩৮৪ জন। আর এ বছরে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২৫ জন। ২৯ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণের (সিডিসি) লাইন ডাইরেক্টর ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল খায়ের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বৃহস্পতিবার বাংলানিউজকে বলেন, আশ্বিন মাসেই ডেঙ্গুর প্রভাব কমতে শুরু করেছে। আগামী এক মাস পর থেকেই ডেঙ্গুর হার আরও অনেক কমে যাবে। তখন শীত আসতে শুরু করবে।

তিনি বলেন, এবারে অন্য সময়ের চেয়ে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কিছুটা কম ছিল। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদক্ষেপের সঙ্গে মানুষের সচেতনতাও ছিল। মানুষকে বলা হয়েছে নিজের বাসাবাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকার এবং সিটি কর্পোরেশনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

তবে চলতি বছরে সময়ের পূর্বেই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় মানুষ। জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে বর্ষার আগেই বৃষ্টিপাত বেড়ে যাওয়ায় মশার প্রাদুর্ভাবও গত ফাল্গুন থেকেই দেখা যায়। ফলে বর্ষার তুলনায় এর আগে বা পরেই দেখা যায় ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব।

এডিস মশার বিচরণ মৌসুম পরিবর্তনের কারণেই ২০০৪ সালের পর ২০১৫ সালে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। তবে ২০১৫ সালে ডেঙ্গু আক্রান্তের চেয়ে বছর শেষে এবার আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেও জানান আবুল খায়ের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান।  

এডিশ মশা প্রতিরোধ বিষয়ে অধ্যাপক শামসুজ্জামান বলেন, ডেঙ্গু মোকাবেলায় সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সচেতনতা। বাসায় ফুলের টব, ভাঙা হাঁড়ি, গাড়ির টায়ার এ ধরনের যেসব স্থানে মশা জন্মায়, সেসব স্থানে পানি জমতে দেওয়া যাবে না। বাড়ির আশপাশের আঙিনা পরিষ্কার রাখতে হবে। দিনে ঘুমানোর সময়ও মশারি ব্যবহার করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০১৬
এমএন/এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।