ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

রামেক হাসপাতালে হঠাৎ কর্মবিরতিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১৬
রামেক হাসপাতালে হঠাৎ কর্মবিরতিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা

রাজশাহী: নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে কর্মবিরতি শুরু করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

বুধবার (০৫ অক্টোবর) দুপুর ২টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) রোগীর স্বজনদের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনার জের ধরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি শুরু করেন।

এ প্রসঙ্গ রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. তৌফিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। আশা করা যাচ্ছে, খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের নেতারা জানান, হাসপাতালের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রাজশাহী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র জনি আহমেদকে দেখতে মঙ্গলবার দুপুরে তার ১৩ জন বন্ধু যান। ইন্টার্ন চিকিৎসক হিসেবে তখন দায়িত্ব পালন করছিলেন রামেক ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম অপু।

তিনি সবাইকে সাক্ষা‍ৎ শেষে দ্রুত ওয়ার্ড ছেড়ে চলে যেতে অনুরোধ করলেও তারা যাচ্ছিলেন না। এক পর্যায়ে মনিরুল ইসলাম নামে জনির এক সহপাঠী অপুর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু করেন। এক পর্যায়ে ইন্টার্ন চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম অপুকে লাঞ্ছিত করেন মনিরুল ইসলাম।

এ ঘটনার পর ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের নেতারা রামেক হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে দেখা করে মনিরুলের গ্রেফতারের দাবি জানান।

হাসপাতালের পরিচালক বুধবার সকাল ১০টার মধ্যেই এ বিষয়ে থানায় মামলা করা হবে বলে আশ্বাস দিলেও দুপুর পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি।

পরে দুপুর ১টায় ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের নেতারা ফের হাসপাতাল পরিচালকের সঙ্গে দেখা করে মনিরুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। এ সময় তিনি আরও একদিনের সময় চান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের নেত‍ারা কর্মবিরতি আহ্বান জানান।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জেনারেল এএফএম রফিকুল ইসলাম বলেন, থানায় মামলা করা হবে কী-না সে ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে পুলিশকে বিষয়টি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। আশা করা যাচ্ছে, খুব দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ্ জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে রামেক ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম অপু বলেন, এটি কোনো দলের আন্দোলন নয়- ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলন। মনিরুল গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত কোনো ইন্টার্ন চিকিৎসক ওয়ার্ডে যাবে না।

এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে হাসপাতালের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে নাটোরের গুরুদাসপুরের সোলেমান (৬০) মারা যায়। এরপর ভুল চিকিৎসায় ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ তোলেন স্বজনরা। পরে ইন্টার্ন চিকিৎসক সুকান্তর সঙ্গে রোগীর স্বজন মামুনের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কিছুক্ষণের জন্যে চিকিৎসা বন্ধ করে দেন। তবে পরে আবার কাজে যোগ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৬
এসএস/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।