এ ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (৭ মে) দিনগত রাতে। ১০টা ১০ মিনিটে লিফটে আটকে পড়ার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর তাদের উদ্ধার করা হয়।
মুর্তজা বশীরের মেয়ে মুনীরা বশীর বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমার আম্মু অ্যাপোলোর ইমার্জেন্সিতে অচেতন অবস্থায় ছিলেন। সেখানে আমরা সবাই না থেকে হাসপাতালের ফুড কোর্টের দিকে যাচ্ছিলাম। আমার ভাই বাবাকে নিয়ে লিফটে নিচে নামছিলেন। এমন অবস্থায় লিফট আটকে যায়। তখন রাত ১০টা ১০ মিনিট। লিফটে বারবার এলার্ম চাপার পরও কোনো সাড়া মেলেনি কর্তৃপক্ষের। ’
তিনি বলেন, ‘তখন পাগলের মতো একবার মায়ের কাছে যাচ্ছিলাম, আবার লিফটে আটকে থাকা বাবার জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে এদিক-সেদিক সাহায্য চেয়ে ছোটাছুটি করছিলাম। কিন্তু বিষয়টিতে পাত্তাই দিতে দেখা যায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। ‘
মুনীরা জানান, ৪৫ মিনিট পর তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ফায়ার সার্ভিসকে কল দেন। এসময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মহাখালী থেকে ইঞ্জিনিয়ার আনতে খবর পাঠায়। দেড় ঘণ্টা শেষে লিফটে আটকে পড়াদের বের করে আনা হয়। বের হওয়ার পর মুর্তজা বশীর আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
মুর্তজা বশীরের মেয়ে বলেন, ‘এমনিতেই তিনি শ্বাসকষ্টের রোগী, লিফটে এতোক্ষণ থাকায় তার অক্সিজেনের ব্যাটারিও ডেড হয়ে যাচ্ছিলো। ’
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘লিফট থেকে উদ্ধারের পর যখন বাবার মেডিকেল চেক আপ করা জরুরি ছিল, তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিছুই করেনি। তাদের কাউকে এসময় পাওয়া যায়নি। লিফটে আটকে থাকার পর শুধু ধৈর্য ধরতে বলছিলো তারা। ’
অভিজাত হাসপাতালটির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে মুনীরা বশীর বলেন, ‘হাসপাতালটিতে শুরু থেকেই অনেক নেগলিজেন্স দেখেছি। মা ভর্তি আছেন বলে আমরা এটা নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাইনি। এখনও মা আইসিউতে অচেতন অবস্থায় ভর্তি আছেন। ’
লিফটে আটকা পড়ার এ ঘটনার পর এখন পর্যন্ত ন্যূনতম কোনো যোগাযোগ করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এটাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলতে চাইছে বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে অ্যাপোলো হসপিটালে ফোন করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।
চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীর বহুভাষাবিদ ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহর ছেলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৭
এসএ/এইচএ/