সোমবার (১৬ মে) হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। দুপুরে দাখিল করা হয় তদন্ত প্রতিবেদন।
সম্প্রতি হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টারের পুকুর থেকে লাখোধিক টাকার ওষুধ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। এর একদিন পর হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ড থেকে উদ্ধার করা হয় ১৫ লাখ টাকারও বেশি মূল্যের মজুদ ওষুধ।
মামলায় মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে অবৈধভাবে ওষুধ জমিয়ে রাখার দায়ে আটক ইনচার্জ বিলকিস জাহান ও অফিস সহায়ক শেফালী বেগমকেই শুধুমাত্র আসামি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ওষুধ সরবরাহ ও বিতরণের হিসাব নিরীক্ষার জন্য গঠিত তদন্ত কমিটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সোমবার দুপুরের দিকে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
৬ সদস্য বিশিষ্ট এই তদন্ত কমিটির প্রধান উপ-পরিচালক স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই সরকারি ওষুধ পাচারের জন্য মজুদ করা হয়েছে। এর সঙ্গে শুধু সেবিকা ও কর্মচারীরাই দায়ী নন। সাব-স্টোরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও জড়িত থাকতে পারেন।
এছাড়া দায়িত্বে গাফিলতির বিষয়ও রয়েছে, তাই বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় তদন্তের সঙ্গে সঙ্গে আইনি তদন্তের প্রয়োজন বলে তদন্ত প্রতিবেদনে সুপারিশ এবং পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পরিচালক জানান, এ ঘটনায় অভিযোগের তীরে থাকা শেফালীর ছেলে তাদের স্টাফ নন। তবে সম্প্রতি হাসপাতালে স্থগিত হওয়া নিয়োগ কার্যক্রমে মামুনের চাকরি হলেও তিনি কর্মস্থলে যোগদান করতে পারেননি। এসব কারণে মামুনকে ওই মামলায় আসামি করা হয়নি। তবে পুলিশের তদন্তে যদি মেডিসিন স্টোরের কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয় বেরিয়ে আসে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১০ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৭
এমএস/এইচএ/