গাড়ি থেকে নামতেই রোদ যেন চামড়া খসিয়ে দিচ্ছিলো। তাপদাহ থেকে বাঁচতে জোর কদমে ফুড ভিলেজে ঢুকে পড়লেন যাত্রীরা।
কেবল শিশুটারই নয়, ফুড ভিলেজের টয়লেটে ঢুকতেই উৎকট দুর্গন্ধে সবার দম বন্ধ হওয়ার যোগাড়। টয়লেটের এখানে-সেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ব্যবহৃত টিস্যু। এক কোণায় পড়ে আছে একটিমাত্র ঝুড়ি, তার নিচেও আবার পড়ে আছে টিস্যুসহ আবর্জনা। যে মপ বা ক্লিনার রাখা আছে সেটার দশা দেখে মনে হতে পারে, এটাকে পরিষ্কার করবে কে?
টয়লেট থেকে ফিরে মুখ ধোয়ার জন্য বেসিনে এসে তো দশা আরও খারাপ। সাবান রাখার কেইসের নিচে পড়ে আছে সাদা কর্পুর-জাতীয় কিছুর ভাঙা-গলা অংশ। দুর্গন্ধ এড়ানোর জন্য এটা রাখা হয়েছে মনে হলেও এখন এই বস্তুটিই গা ঘিন ঘিন করার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেসিনে যেন হাফ ইঞ্চি করে কালি জমে আছে, আয়না দেখতে গিয়ে কেবল আয়নার ময়লাই দেখা হলো, চেহারা নয়।
বাইরে এসে আরিফ হোসেনের সন্তান পানি পান করতে চাইলো। একটি টেবিলে গিয়ে গ্লাস হাতে নিয়ে দেখা গেল, এই গ্লাস বুঝি রমজানের আগে ধোয়া হয়েছে, রমজানে আর ধোয়া লাগলো না! সেই টেবিলে সেবাদাতাকে জিজ্ঞেস করা হলো, এক টেবিলে ক’জন সার্ভ করেন। তার উত্তর, ‘ওই যে সবাই টেবিলে টেবিলে কাজ করছে?’ অথচ এই গ্লাস ধোয়া অথবা সেবার বদলে একদল কর্মীকে দেখা গেল এক প্রান্তে জড়ো হয়ে গালগল্প করতেই!
গাড়ি থামার পর তাপদাহ থেকে বাঁচতে সবাই ফুড ভিলেজে ছুটেছিল, এখন যেন ফুড ভিলেজ ছেড়ে গাড়িতে উঠতে পারলেই বাঁচে। বেরোনোর সময় কেউ একজন বলেও উঠলেন, ‘মনোযোগ তাদের অর্থ কামাইয়ে, গলাকাটা দাম আরও কতো বাড়ানো সে চিন্তায় মনোযোগ। এদিকে খেয়াল থাকবে কোত্থেকে?’
অথচ, এমন অভিযোগ নিয়েই গত বছরের ৩১ জুলাই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হলে সেবার মান বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাংলানিউজে চিঠি পাঠিয়েছিলেন ফুড ভিলেজ’র জেনারেল ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম সলিম। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি কি মনে থাকে তাদের?
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৭
এইচএ/জেডএম
আরও পড়ুন
** যুবরাজের আত্মদানে জলে ভরা সাগর!
** দিনাজপুর বিএনপিতে অপবাদ ঘোচানোর লড়াই
** কোন্দলে পুড়েও ইকবালুরই ভরসা দিনাজপুর সদরে
** আ’লীগে বিভেদের দেয়াল দিনাজপুর-৬ আসনে
** রাজশাহীতে প্রশান্তির বৃষ্টি, ঢাকায় কবে?
** আসন চাইলে ওদুদ, আ’লীগ বাঁচাতে দরকার বিকল্প
** ‘পারিবারিক রাজনীতিতে’ হতাশ তৃণমূল বিএনপি
** উফ গরম, উফ তৃষ্ণা
** ‘ভোটে’ ‘বিশ্বাস’ নেই চাঁপাইবাসীর


