শুক্রবার (১৫ জুলাই) নগর ভবনে চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে মশক নিধনের ক্রাশ কর্মসূচি উদ্বোধনকালে মেয়র সাঈদ খোকন বলেছিলেন- আমি দ্ব্যর্থ কণ্ঠে ঘোষণা দিচ্ছি, ঢাকা উত্তরে এ রোগ মহামারী আকার ধারণ করলেও দক্ষিণ সিটিতে এ রোগ মাহামারির ধারে কাছেও নেই।
দক্ষিণের মেয়রের দেওয়া এমন ঘোষণা পর পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসাপাতালে গিয়ে দেখা যায়, রোগীদের ব্যাপক ভিড়।
বেশিরভাগ রোগীই আসছেন হাড়ের সংযোগ স্থলের ব্যথাসহ জ্বর নিয়ে। জরুরি বিভাগের রেজিস্ট্রার খাতা থেকে দেখা গেছে, যারা চিকিৎসার জন্য আসছেন, তাদের সিংহভাগই হচ্ছেন চিকুনগুনিয়ার রোগী।
জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. নজরুল ইসলাম মৃধা বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৭শ’র মতো রোগী জরুরি বিভাগে সেবা নিয়েছেন গত কয়েকদিনে। এর মধ্যে ৫শ’র বেশি রোগী চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এসেছেন। এদের মধ্যে প্রায় দশ শতাংশ রোগী এসেছেন তীব্র ব্যাথা নিয়ে। তাই তাদের ভর্তি করে নেওয়া হয়েছে।
নজরুল ইসলাম মৃধা আরো বলেন, যেহেতু এই জ্বর এক সপ্তাহের মধ্যেই ভাল হয়ে যায়। তাই প্যারাসিটামল দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া গ্যাস্ট্রিকের ওষুধও দিতে হচ্ছে। আর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে প্রচুর পানি ও তরল খাবার গ্রহণে।
ব্যথা এক মাস থেকে তিন মাস পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এজন্য পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। আর যেসব রোগীর কম্প্লিকেশন্স বেশি কেবল তাদেরই ভর্তি করে নেওয়া হচ্ছে জানান চিকিৎসক নজরুল ইসলাম।
এ জ্বর একবার হলেও দ্বিতীয়বার আর হওয়ার কথা নয়, চিকিৎসা বিজ্ঞান এমনটিই বলে-যোগ করেন তিনি।
প্রতিবেদকের উপস্থিতিতেই ৩০ জন রোগীর মধ্যে ২৫ জনকে চিকুনগুনিয়ার চিকিৎসা দিলেন চিকিৎসক। এদের মধ্যে নারী, শিশু ও প্রবীণরাও আছেন।
আজগর আলী নামে এক ব্যক্তি বাংলানিউজকে বলেন, তার বাবা আসলাম মিয়া দু’দিন থেকে তীব্র জ্বর আর ব্যথায় কাতরাতচ্ছিলেন। তাই আজ হাসাপাতালে এনেছেন। চিকিৎসক দুটো ওষুধ দিয়েছেন। আর বেশি করে পানি ও তরল জাতীয় খাবার খেতে বলেছেন। তার পরিবারের আরও দুইজনের এমন জ্বর হয়েছিরো বলেও জানান আজগর।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৭
ইইউডি/বিএস